বাংলাদেশ দলে এখন হাজারো সমস্যা! একে তো নতুন কোচের সঙ্গে দলের বোঝাপড়াটা পুরোপুরি হয়ে ওঠেনি। তার ওপর একের পর এক হারে বাড়ছে চাপের বোঝা। দল নির্বাচনেও অস্থিরতা। ত্রিদেশীয় সিরিজে ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে ১৯ ক্রিকেটারকে। প্রতি ম্যাচের পরই কোনো না কোনো রদবদল হচ্ছে।
টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও আফগান স্পিনারদের সামনে বিধ্বস্ত টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। রশিদ খান কিংবা মুজিব উর রহমান টাইগার ব্যাটসম্যানদের জন্য যেন মূর্তিমান আতঙ্ক। অথচ এই স্পিনারদের সামলেই গত বিশ্বকাপে আফগানদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলে নেই কোনো পাওয়ার হিটার! অথচ টি-২০ ক্রিকেটে এমন ব্যাটসম্যানই সবার আগে দরকার যারা খুব কম সময়ে কম বল ফেস করে দ্রুত রান তুলবেন।
এর আগে প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর স্পিনের বিপক্ষে দলের স্কিলের দক্ষতার অভাবের কথা বলেছিলেন সাকিব। মোসাদ্দেকও তাই বললেন। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্কিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওদের স্পিনারদের প্রায় সবাই রিস্ট স্পিনার। চাইলেই ওদের বলে চার-ছক্কা মারতে পারবেন না। এক্ষেত্রে স্কিলের একটা ব্যাপার আছে। আমাদের সবই ঠিক আছে। কিন্তু কিছু জায়গায় হয়ত ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এজন্যই হয়ত অল্প রানে হেরে যাচ্ছি। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
মোসাদ্দেক আরও বলেন, ‘আফগানদের সঙ্গে খেলা হলেই ওদের স্পিনারদের কথা উঠে আসে। তবে আমরা যদি ওদের স্পিনারদের আরেকটু দেখে খেলি তাহলে ভুলগুলো হয়ত কমে যাবে। আমাদের হারের ব্যবধান কিছু বেশি না- ১৫/২০ রানের। যেসব ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করছি সেসব জায়গায় একটু দেখেশুনে খেললে ম্যাচ জেতা সহজ হবে।’
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি জিতলেই সিরিজের ফাইনালে পা রাখবে সাকিববাহিনী। অন্যদিকে দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া জিম্বাবুয়ের জন্য ম্যাচটি এক অর্থে টিকে থাকার শেষ সুযোগ।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ