ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের ইন্দোরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। এদিন, সকাল সাড়ে ৯টায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলপতি মুমিনুল হক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর দলে ফিরেও ব্যর্থ অভিজ্ঞ ওপেনার ইমরুল কায়েস। ব্যর্থ হলেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই নেই এই দুই ওপেনার। ষষ্ঠ ওভারে উমেষ যাদবের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ইমরুল করেন মাত্র ৬ রান। পরের ওভারে ইশান্ত শর্মার শেষ বলে নেই সাদমান ইসলামও। তিনিও ইমরুলের সমান ৬ রান করে আউট হয়েছেন।

এরপর রিভিউ নেবেন কিনা জানতে অপর প্রান্তে থাকা মুমিনুল হকের পরামর্শ চান মিথুন। তবে, অধিনায়ক না সংকেত দিলে প্যাভিলনের পথ ধরেন ৩৬ বলে ১২ রান করা চার নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান। এরপর জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন চাপে টাইগাররা। মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান মুমিনুল হক। ৩ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে লাঞ্চে যান এ জুটি।

লাঞ্চ বিরতির পর ছন্দময় ক্রিকেট খেলতে থাকেন মুমিনুল-মুশফিক। তবে দলীয় ৯৯ রানে অশ্বিনের বল ছেড়ে দিয়ে পরিষ্কার বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে লড়াকু ৩৭ রান করেন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও উইকেটে থিতু হতে পারেননি। অশ্বিনের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে সোজা বোল্ড হয়ে ফিরলেন তিনি। দলীয় ১১৫ রানে ব্যক্তিগত ১০ রানে বিদায় নেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর ২৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এরপর দলীয় ১৪০ রানের মাথায় টাইগার শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মোহম্মদ শামি। তিনি প্রথমে ফেরান মুশফিকুর রহিমকে। আউট হবার আগে মুশফিউর ১০৫ বলে ৪৩ রান করেন। পরের বলেই মেহেদি হাসান মিরাজ ০ রানে বিদায় নেন।

১৪০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪০ রান। ৩০ বলে ২১ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন লিটন দাস।

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ