২০১৫ ও ২০১৭ মৌসুমে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারের পরে জুভেন্টাস বোর্ড মনে করেছিল, একমাত্র রোনালদোকে পেলেই তারা ট্রফি পাবে। তবে গত মৌসুমে স্বপ্নপূরণ হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে জুভেন্টাস হেরে যায় অপেক্ষাকৃত তরুণদের নিয়ে গড়া দল আয়াখস আমস্টারডামের কাছে। তারপরেও রোনালদোর ধারণা, তাঁর নতুন ক্লাবের ইউরোপ সেরা হওয়ার ক্ষমতা আছে। সেই লক্ষ্যে ইটালির ক্লাবের সামনে প্রথম পরীক্ষা বুধবার। যদিও প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের ক্লাব লিও শক্তির নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
জুভেন্টাসের জন্য ভাল খবর, মৌসুমের শুরু মন্থর হলেও রোনালদো দ্রুত ছন্দে ফিরেছেন। এ বারই ২০ ম্যাচে তার ২০ গোল হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয় শেষ ১০ ম্যাচে তিনি ১৫ গোল করেছেন। জুভেন্টাসের ম্যানেজার মাউরিসিয়ো সাররি বলেছেন, ‘‘এই বয়সে (৩৫ বছর) ক্রিশ্চিয়ানোর ফিটনেস অবিশ্বাস্য। জানি না, বিশ্বফুটবলে গোল করার ক্ষেত্রে এত বড় প্রতিভা এসেছে কি না।’’ এমনকি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি পর্যন্ত সম্প্রতি মন্তব্য করেন, ‘‘রোনালদো সত্যিকারের গোল- শিকারি। গোলের সামান্যতম গন্ধ পেলেও ঝাঁপিয়ে পড়ে। ও একজন অসাধারণ প্রতিভা।’’
মজা হচ্ছে, রোনাল্ডোর জাতীয় দল পর্তুগালের অন্যতম গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেসও আগামীকাল খেলবেন। বুধবার তাঁকেই দেখা যাবে লিওর গোলরক্ষা করতে। যা নিয়ে লোপেস বলেছেন, ‘‘ওর সঙ্গে খেলেছি। তাই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কিন্তু ওর বিপক্ষে খেলতে নামা অন্তত আমার কাছে দুর্ভাগ্যের। পেনাল্টি বক্সে বা তার আশেপাশে ক্রিশ্চিয়ানো যে ভয়ঙ্কর, তা না বললেও চলে।’’
যোগ করেন, ‘‘ভাল করেই জানি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমরা কতটা কী করতে পারব তা অনেকটাই নির্ভর করবে ক্রিশ্চিয়ানোর উপরে।’’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ