বিশ্বব্যাপী এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মারাও যাচ্ছে অনেকে। করোনার প্রাদুর্ভাবে যেন গোটা বিশ্বই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
অসুস্থ এই বিশ্বে, আতঙ্কের আবহে ফুটবলপ্রেমীদের জন্য স্বস্তির খবর হল করোনাকে মাটি ধরিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। এরই মধ্যে অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা।
আর সুস্থ হয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সেই সব ভয়ঙ্কর দিনগুলোর অভিজ্ঞতা জানালেন তিনি।
গত শনিবার টুইট করে নিজেই জানিয়েছিলেন, মারণ করোনাভাইরাসের কবলে পড়েছেন দিবালা। সংক্রমিত হয়েছেন তার বান্ধবী ওরিয়ানাও। মাতুইদি ও রুগানির পর তৃতীয় জুভেন্টাস তারকা হিসেবে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, সিরি-এ খেলা অন্যান্য ক্লাবের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের শরীরেও এই ভাইরাসের সন্ধান মেলে। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে জুভেন্টাসের স্টার ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে চিন্তা বাড়ে অনুরাগীদের। সপরিবারে একটি দ্বীপে আইসোলেশনে চলে যান পর্তুগিজ তারকা। তবে দিবালা সুস্থ হয়ে ওঠায় সকলেই স্বস্তি পাচ্ছেন। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার জানালেন, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অত্যন্ত শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন তিনি।
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিবালা বলেন, “আমার শরীরে করোনার উপসর্গ বেশ প্রকট হয়ে উঠেছিল। তবে এখন অনেকটাই ভাল আছি। এখন হাঁটাচলা করতে পারছি। শরীরচর্চা করছি। দিন কয়েক আগে পর্যন্ত কোনও কাজ করতে গেলেই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। সারা শরীরে ব্যথা ছিল।”
কথাতেই স্পষ্ট, আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ দিবালা। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কৃতিত্ব অবশ্য অনেকটা তার নিজেরই। আসলে প্রথমে শরীরে কোনও উপসর্গ ধরা না পড়লেও ইউরোপে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সেলফ আইসোলেশনে চলে গিয়েছিলেন দিবালা। পরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনা পরীক্ষাও করান। সেখানেই জানা যায়, ভাইরাস ঢুকেছে সিআর সেভেনের সতীর্থের শরীরে। কিন্তু অগ্রীম সচেতন হওয়াতেই করোনাকে গোল দিয়ে মাত করতে পেরেছেন ২৬ বছরের এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার।
বিডি প্রতিদিন/কালাম