মৃত্যুর আগে ম্যারাডোনার শরীরে কোনো ধরনের অ্যালকোহল বা অবৈধ মাদক প্রয়োগ করা হয়নি বলে টক্সিকোলোজি রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশ হওয়া টক্সিকোলোজি রিপোর্টে আরও বলা হয়, তার শরীরে এমন ধরনের ওষুধ পাওয়া গেছে, যা তার শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে।
এই তদন্তের মূল কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল সান ইসিদরো তার তদন্তে দেখেছেন, ম্যারাডোনার পুরো চিকিৎসাকালে কোনো অপব্যবহার হয়েছে কি না।
ম্যারাডোনাকে প্রয়োগ করা ওষুধ হতাশা এবং খিঁচুনি ধরনের সমস্যার সমাধানের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এ ছাড়া পেটের সমস্যার কারণেও এগুলো দেওয়া হয়েছিল।
এই রিপোর্টগুলো প্রমাণ করে ম্যারাডোনা কিডনি, লাং ও লিভারের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন।
গত ২৫ নভেম্বর, ৬০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। এর আগে নভেম্বরের শুরুতেই মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করে জমাট বাধা রক্ত অপসারণ করা হয় ম্যারাডোনার। ১১ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এর ২ সপ্তাহের মাথায় চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
সূত্র: স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কা
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ