বিপিএলের ২২তম ম্যাচে শেষ ওভারে থ্রিলার তৈরি করেও জিততে পারেনি সিলেট। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন হলে টানা তিনটি ছয় মারেন আলাউদ্দিন বাবু। যদিও শেষরক্ষা হয়নি সিলেটের। শেষ পর্যন্ত ১৫ রানে জয়লাভ করে খুলনা টাইগারস।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার দেয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬৭ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। এতে ১৫ রানের জয় পায় খুলনা।
এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে খুলনা।
১৮৩ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করে সিলেট সানরাইজার্সের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও লিন্ডল সিমন্স। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে নাবিল সামাদের শিকার হয়ে ১০ রানে বিদায় নেন সিমন্স। তার বিদায়ের পর অবশ্য একপ্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন বিজয়। তাকে সঙ্গ দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কলিন ইনগ্রাম। বিজয়কে আউট করে ২৯ রানের এই জুটি ভাঙেন থিসারা পেরেরা। ৩৩ বলে ৪৭ রান করে বিদায় নেন বিজয়।
চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নেমে থিতু হতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুন। ২ রানে তার বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামা রবি বোপারা ফেরেন ০ রানেই। এরপর ইনগ্রামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়কত্ব হারানো মোসাদ্দেক। ইনগ্রামকে ফিরিয়ে ৫৮ রানের জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। ২৮ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন সিলেটের এই ব্যাটার।
শেষদিকে এসে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন আলাউদ্দিন বাবু। শেষ ওভারের তিন বলে তিন ছক্কা মেরেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। ১৬৭ রানেই থামতে হয় সিলেটকে। ৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন বাবু। ২২ বলে ৩৯ রানে অপরপ্রান্তে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক।
খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন কামরুল ইসলাম। মেহেদি হাসান তুলে নেন ২ উইকেট। বাকি উইকেটটি শিকার করেন পেরেরা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই রান আউট হন খুলনা টাইগার্সের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। ব্যাট করতে নামা মেহেদি হাসান পরের বলেই উইকেট হারান। এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি ইয়াসির আলিও। ১৮ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন তিনি। চারে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিম সৌম্য সরকারের সঙ্গে দলের হাল ধরেন।
৮৪ বলে ১৩৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন সৌম্য ও মুশফিক। তাদের অসাধারণ ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা টাইগার্স।
৪ চার ও ৪ ছয়ে ৬২ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন সৌম্য। অপরদিকে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৩৮ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
সিলেটের হয়ে একটি করে উইকেট পান সোহাগ গাজী ও একেএস স্বাধীন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন