আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তাই খেলা হয়নি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টে। তার জায়গায় দলের অধিনায়কত্ব করেন লিটন দাস। তুলে নিয়েছেন টেস্টে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়। এই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে নিয়ে তাকে শুনতে হয়েছে একটু উল্টো প্রশ্ন।
সাকিব আল হাসান থাকলে তিন পেসার খেলানো নিয়ে সংশয় হতো। অথবা বাদ দিতে হতো তাইজুল ইসলামকে, টেস্টে দেশের সবচেয়ে সফল বোলার যিনি। সাকিবের না থাকাটা কি শেষ অবধি দলের একাদশ সাজানোর কাজ সহজ করে দিলো?
লিটন বলেন, ‘দেখেন ম্যাচের আগে হয়তো এরকম ছিল সাকিব ভাই খেললে ভালো হতো। ম্যাচের পরে আসছে যে খেললে ভালো হতো কি না। জিনিসটা এমন না, আপনার হাতে যা অস্ত্র আছে, যখন একাদশ সেট করে দিয়েছি। কে থাকবে না থাকবে এটা নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। হয়তো দুই বছর পর বা চার বছর পর এমন দিন আসবে যখন সাকিব ভাই থাকবে না। বাংলাদেশ দলকে তো এগিয়ে যেতে হবে। আমি যে দলটা খেলেছি বাংলাদেশের সেরা দল ছিল। তারা তাদের ভূমিকা পালন করেছে।’
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে এই ম্যাচে ছিলেন না তামিম ইকবালও। কোমরের চোটে শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান তিনি। তাদের না থাকার পরও ৫৪৬ রানের রেকর্ড জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাহলে কি নতুন একটা অধ্যায়ে প্রবেশ করলো দেশের ক্রিকেট? লিটন তেমন মনে করছেন না। তবে সাকিব-তামিমদের ছাড়া জয়ের বিশ্বাস তাদের কখন জন্মেছে, জানিয়েছেন সেটি।
লিটন বলেন, ‘না বদল না। নিউজিল্যান্ডে যে আমরা জিতেছি, একই কিন্তু। তামিম ভাই, সাকিব ভাই কেউই খেলেনি। আমরা তরুণ দল ছিলাম এবং দেশের বাইরে গিয়ে জিতেছি। আমরা যখন দেশের বাইরে গিয়ে জিতলাম আমাদের ভেতর একটা বিশ্বাস আসল যে কষ্ট করলে সাফল্য পাওয়ার হার বাড়ে। সবাই এখন একটা ব্যাপারে মরিয়া যে কখন টেস্ট আসবে, কখন টেস্ট আসবে।’
‘আল্টিমেটলি দুই-তিন বছর পরে গিয়ে তিন-চারজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাবেন না। এখন থেকে এটা যদি সামলাতে না পারেন তাহলে হুট করে বদল হয়ে গেলে কঠিন। তারা খেললে ভালো হতো, কিন্তু এমন না যে ওখান থেকে আমরা কামব্যাক করতে পারব না। পাইপলাইনে, আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। নতুন যারা আসছে তারা সামর্থ্যবান।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ