টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে জোনাল অ্যাডভোকেসি সভা হয়েছে। সোমবার নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে এ সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওছার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বলেন, টাইফয়েড টিকা গ্রহণে ভ্যাকসিনেশন অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে টিকা পাওয়ার যোগ্য সকলকে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দ্বারা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই তাদের জন্ম নিবন্ধন দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এসময় তিনি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় জানানো হয়, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৮ কর্মদিবস পর্যন্ত চলবে। এবছর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭ হাজার। এরমধ্যে স্কুল পর্যায়ে ৬৫ হাজার এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৩২ হাজারকে টিকা দেওয়া হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুদের টিকা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। এরমধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে এবং পরবর্তী ৮ দিন স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্রসমূহে টিকা প্রদান করা হবে।
সিটি কর্পোরেশনের সচিব রুম্পা সিকদারের সভাপতিত্বে এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মনজরুল ইসলাম শুভ্রর সঞ্চালনায় অ্যাডভোকেসি সভায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল, সিভিল সার্জন ডাঃ এস.এম. মঞ্জুর-এ-এলাহী, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিভাগীয় উপপরিচালক নীলুফার ইয়াসমিন, ইউনিসেফ বরিশালের চিফ ফিল্ড অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন বক্তৃতা করেন। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা প্রধান, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল