চট্টগ্রামের গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাতে হালদা ও কর্ণফুলী নদীর পানির স্তর বেড়ে রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার শতাধিক গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর কৃষিজমি, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, হাটবাজারসহ সরকারি বেসরকারি অনেক অফিসও পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্থানীয় সূত্রগুলো এমন তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের ফলে হালদা ও কর্ণফুলী নদীর পানির স্তর ৫-১০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে গেছে। পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা ঢলে পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়ে দুই নদীর তীরবর্তী হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার শতাধিক গ্রাম ৫-৮ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে। এসব এলাকার জনবসতি ছাড়াও হাজার হাজার একর কৃষিজমি, পুকুরও পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।
রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম কবির জানান, পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে শতশত একর কৃষি জমির ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি মাছচাষীদের পুকুরের মাছ পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পানি কমলে কৃষি বিভাগ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে হাটহাজারীর পূর্বাঞ্চল পুরোটাই পানিতে ডুবে আছে। বিশেষ করে মদুনাঘাট, দক্ষিণ মাদার্শা, বুড়িশ্চর, গরদুয়ারা, মেখল ইউনিয়নের গ্রামগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে। অন্যদিকে রাউজানের দক্ষিণ নোয়াপাড়া, উরকিরচর, পূর্ব উরকিরচর, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে আছে। দুই উপজেলার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানির জন্য দুর্ভোগে পড়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল