আক্রমণ আর বল দখলে স্পেন ছিল ম্যাচজুড়েই এগিয়ে। প্রথমে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। কিন্তু শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ড। অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, পেনাল্টি শুটআউটে জিতে শিরোপা ধরে রাখল ইংলিশ মেয়েরা।
রবিবার অনুষ্ঠিত উইমেন’স ইউরো ২০২৫-এর রোমাঞ্চকর ফাইনালে নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর, টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-১ ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচে বল দখলে ৬৫ শতাংশ সময় ও ২২টি শটে স্পষ্টভাবেই আধিপত্য দেখায় স্পেন। ইংল্যান্ড নিল মাত্র ৮টি শট, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু কার্যকারিতায় এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ডই।
২৫তম মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তে। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে হেডে গোল করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন স্প্যানিশ সমর্থকদের।
বিরতির পর ৫৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বদলি নামা ক্লোই কেলির ক্রসে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন অ্যালেসিয়া রুশো, যিনি নিজেও আর্সেনালের হয়ে খেলেন।
এরপর দুই দলই একাধিক আক্রমণ চালালেও আর গোলের দেখা পায়নি কেউই। অতিরিক্ত সময়ও সমতায় থেকে শেষ হয়।
১৯৮৪ সালের পর এবারই প্রথমবার ইউরো নারী ফাইনালের নিষ্পত্তি হলো টাইব্রেকারে। তবে শুরুটা ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের। বেথ মিড পা পিছলে ডাবল টাচ করে প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হন।
তবে এরপর আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় ইংল্যান্ড। বাকি চার শটের তিনটিই সফলভাবে নেন খেলোয়াড়েরা। অন্যদিকে স্পেনের তিন শটই ব্যর্থ হয়, যার মধ্যে দুটি রুখে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক।
২০২৩ সালে প্রথমবার নারী বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেন। এবার ইউরোর শিরোপা জিতে ‘ডাবল’ করার স্বপ্ন ছিল তাদের। কিন্তু ফাইনালে এসে সেই স্বপ্নভঙ্গ হলো।
অন্যদিকে, ইউরোতে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ড। তারা তৃতীয় দল হিসেবে একাধিক ইউরো জয়ের কীর্তি গড়ল, আগেই এই কৃতিত্ব ছিল নরওয়ে (২ বার) ও জার্মানির (৮ বার)।
বিডি প্রতিদিন/মুসা