বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজায় অপুষ্টির হারকে উদ্বেগজনক বলে সতর্ক করেছে। যা বিপজ্জনক পথে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ সহায়তা পুনরায় শুরু হয়েছে। তবে ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
রবিবার জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় বিমানযোগে ত্রাণ সরবরাহ করেছে, যখন ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে কৌশলগত বিরতি ঘোষণা করে। ইসরায়েল জানিয়েছিল, তারা গাজার কিছু অংশে দিনে ১০ ঘণ্টার জন্য সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে এবং জাতিসংঘের ত্রাণ কনভয়ের জন্য করিডোর খুলে দেবে, যাতে ইচ্ছাকৃতভাবে অনাহার সৃষ্টির মিথ্যা দাবি খণ্ডন করা যায়। তবে হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে তাদের ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছে।
জর্ডানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতায় তিনটি ধাপে ২৫ টন ত্রাণ সরবরাহ করেছে। একই দিনে মিশর থেকে একটি লরি বোঝাই ত্রাণও গাজায় প্রবেশ করেছে এবং জর্ডান থেকে আরও একটি কনভয় আসার কথা রয়েছে।
তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মধ্য গাজায় একটি ত্রাণ কনভয়ের রুটের কাছে ইসরায়েলি হামলায় ৯ জন নিহত এবং ৫৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার এক ঘণ্টা পরেও একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, মধ্য গাজার সালাহ আল-দিন স্ট্রিটের নেৎজারিম করিডোরে ৯ জনকে গুলি করা হয়েছে। সেখানে অনেক বেসামরিক লোক জাতিসংঘের ত্রাণ কনভয়ের প্রত্যাশায় জড়ো হয়েছিল। আল-আওদা হাসপাতালের একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, হতাহতদের নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সেনারা সন্দেহভাজনদের একটি দলকে তাদের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে। তবে তারা কোনো হতাহতের বিষয়ে অবগত নয় বলে দাবি করেছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল