বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের ঐহিত্যবাহী বিবির পুকুরের ‘সৌন্দর্য বলি’ দিয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির অভিযোগ উঠেছে সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে। মাত্র ২০ লাখ টাকায় চুক্তির দোহাই দিয়ে বিলবোর্ডে ঢেকে দেওয়া হয়েছে পর্যকটদের মিলন কেন্দ্র বিবির পুকুরের চারপাশ। অভিযোগ উঠেছে, বাড়তি সুবিধা নিতে সিটি করপোরেশনের বনায়ন ও বিবির পুকুর সৌন্দর্য রক্ষার দায়িত্বে থাকা ১৭ নম্বর কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান হিরু এবং মেয়র আহসান হাবিব কামাল বিদেশি প্রতিষ্ঠান হুয়াইওয়ের সঙ্গে দুই বছরের জন্য ওই চুক্তি করেন।
বরিশাল নগরীর সৌন্দর্য রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, বিবির পুকুরের সৌন্দর্য রক্ষার নামে নতুন করে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। অবিলম্বে বিবির পুকুর এলাকা থেকে সব বিলবোর্ড অপসারণ করে পুকুর উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, হুয়াইওয়ে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের চুক্তি হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব ও মধ্যস্থতা করেছেন বিবির পুকুর রক্ষার দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান হিরু। বিবির পুকুরের সৌন্দর্য ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগ তুলে নাগরিকরা স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পরিষদের পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান হিরু জানান, বিবির পুকুর রক্ষার সার্বিক দায়িত্ব তার হলেও পুকুরের চার পাশে বিলবোর্ড স্থাপনের সিদ্ধান্ত তার নয়। সিটি করপোরেশন ওই চুক্তি করেছে। ওই অর্থ দিয়ে ভেঙে যাওয়া গ্রিল সংস্কার করে পুরো অংশ রং করা এবং বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন করে সৌন্দর্য করা হবে। ব্যক্তিগত বাণিজ্যের কথা অস্বীকার করেন কাউন্সিলর।