চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নতুন ব্রিজ এলাকায় আমরা একটি বাস টার্মিনাল করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। প্রয়োজনীয় জায়গার সংস্থান হলেই বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
চট্টগ্রাম নগরে প্রবেশের অন্যতম পথ শাহ আমানত সেতু নতুন ব্রিজের উত্তর পাড়ের মোড়। এখান থেকেই কক্সবাজার, বান্দরবান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ যানবাহনে ওঠেন। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের সমাগম হয় এই মোড়ে। কিন্তু এখানে নেই কোনো বাসস্ট্যান্ড, নেই গাড়ি রাখার নির্দিষ্ট জায়গা। তাই সড়কই যেন অঘোষিত বাসস্ট্যান্ড, সড়কেই চলে যাত্রী ওঠা-নামা।
শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বর থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, শান্তিরহাট, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালীর উদ্দেশে প্রতিদিন ছেড়ে যায় হাজারেরও বেশি যানবাহন। ছাড়ে কক্সবাজার ও বান্দরবানের বাসও।
জানা যায়, কর্ণফুলী সেতুর উত্তরপাড় গোলচত্বর এলাকা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন রুট এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলাসহ কক্সবাজার ও বান্দরবান রুটসহ অন্তত ২১ ধরনের যানবাহন চলাচল করে। শাহ আমানত সেতু দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় এবং কক্সবাজার ও বান্দরবান রুটে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২৭ হাজারের বেশি গাড়ি চলাচল করে। এর সঙ্গে নগরীর ১৯টি রুটের বাস, টেম্পো, হিউম্যান হলারসহ বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে শাহ আমানত সেতুর এ গোলচত্বর হয়ে। কিন্তু এখানে নেই কোনো বাস স্ট্যান্ড। আবার গাড়ির তুলনায় সড়কের পরিধিও ছোট। ফলে নিত্য যানজট লেগেই থাকে। আবার সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতা চলে এই গোল চত্বরের চারপাশেই। তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) গোলচত্বর এলাকায় কিছু সরকারি জায়গায় একটি বাসস্ট্যান্ড গড়ার কথা বললেও তা স্থগিত হয়ে আছে।
যাত্রী কাউসার ইসলাম বলেন, প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যার পর নতুন ব্রিজ এলাকায় মানুষের ব্যাপক সমাগম হয়। বিশেষ করে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার, শুক্রবার সকাল ও অফিস খোলার দিনে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এখানে যাত্রীদের ভিড় থাকে। সব গাড়িই ছাড়ে সড়ক থেকে।
চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নতুন ব্রিজ এলাকায় আমরা একটি বাস টার্মিনাল করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। প্রয়োজনীয় জায়গার সংস্থান হলেই বাস টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে।