ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও নগর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এরই মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জাতীয় পার্টির মহানগর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) রাজশাহী মহানগরীর আহ্বায়ক সরদার জুয়েল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের গোলাম মুর্শিদ ও নগর সহসভাপতি ফাইসাল হোসেন মনিরের নাম শোনা যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে মোবাশ্বের আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমি সবসময় সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছি। ৯১ সাল থেকে আমি মেয়র। ২০০১ সালে এমপি। মানুষের ভালোবাসাই বড় কথা। মনোনয়নের ব্যাপারে দলের হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। দলীয় নেতা-কর্মীরা রাজশাহী-২ আসনে মিনুকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে গণসংযোগ শুরু করেছেন। রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ভালোই সাড়া পাচ্ছি। জামায়াত ঘরানার বাইরে থেকেও অনেকেই ফোন করেছেন। দলীয়ভাবে সাপোর্ট করেন না, তারাও সাড়া দিচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে ফোনও করছেন।’
জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। তারা নগরীর থানা, ওয়ার্ড ও মহল্লা পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। রাজশাহী-২ (সদর) বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। তবে মহানগরীতে বিএনপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য। তাদের কোন্দলের সুযোগ নিতে পারে জামায়াত। আসনটিতে ইসলামী আন্দোলনও সরব। জাতীয় পার্টির মহানগর আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন জানান, নির্বাচনের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। দল চাইলে তিনি নির্বাচন করবেন।