গৃহহীনদের ওয়াশিংটন ছাড়তে হবে

গৃহহীন মানুষদের ‘অবিলম্বে’ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বের হয়ে যেতে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহরের অপরাধ দমন ও রাজধানীকে ‘আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে নিরাপদ ও সুন্দর’ করতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন ট্রাম্প। গৃহহীনদের সরে যাওয়ার নির্দেশ তারই অংশ। এদিকে শহরের মেয়র মুরিয়েল বাউজার ট্রাম্পের এ নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন ও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটন ডিসিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের সঙ্গে তুলনা করাকে ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। গত মাসে ট্রাম্প একটি আদেশে গৃহহীনদের গ্রেপ্তার করা সহজ করেন ও গত সপ্তাহে ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় নামানোর নির্দেশ দেন। রবিবার ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ লেখেন, ‘গৃহহীনদের এখনই সরে যেতে হবে। আমরা থাকার জায়গা দেব, তবে রাজধানী থেকে অনেক দূরে। অপরাধীরা, তোমাদের সরতে হবে না, আমরাই তোমাদের জেলে পাঠাব। আমরা আমাদের রাজধানী ফেরত চাই। কোনো ‘ভদ্রতা’ দেখানো হবে না।’ এর আগে ট্রাম্প ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়া অপরাধ দমনের জন্য ইউএস পার্ক পুলিশ, ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ), এফবিআই ও ইউএস মার্শাল সার্ভিসসহ ফেডারেল এজেন্ট মোতায়েনের নির্দেশ দেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওকে (এনপিআর) জানান, শনিবার রাতে প্রায় ৪৫০ জন ফেডারেল অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। এ পদক্ষেপ এমন একসময়ে নেওয়া হলো, যখন ওয়াশিংটন ডিসিতে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডোজ) এক সাবেক কর্মী গাড়ি ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় হামলার শিকার হন। ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত ছবি পোস্ট করেন। তবে মেয়র বাউজার এমএসএনবিসিকে বলেন, ২০২৩ সালের একটা সময় আমাদের শহরে অপরাধের হার বেড়েছিল, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। গত দুই বছরে আমরা সহিংস অপরাধ কমিয়ে ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনেছি। তিনি হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ স্টিফেন মিলারের রাজধানীকে ‘বাগদাদের চেয়েও সহিংস’ বলার মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত ও ভুল বলে অভিহিত করেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরের তুলনায় ডিসিতে হত্যাকাণ্ডের হার তুলনামূলক বেশি। চলতি বছর এই শহরে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯৮টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড হয়েছে। তবে ফেডারেল তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে মোট সহিংস অপরাধের হার ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল, যার মধ্যে ছিনতাই, হামলা ও ডাকাতি অন্তর্ভুক্ত। বিবিসি