মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিপন্ন খিলগাঁও-বাসাবো খাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বর্ষা মৌসুম সামনে রেখেও রাজধানীর খালগুলো দখল ও দূষণের কবল থেকে রক্ষায় কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই ঢাকা ওয়াসার। খালের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা জমে এমন হয়েছে যে, তার ওপর দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটাচলা করা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, ওয়াসা বছরে দুই-একবার পরিষ্কার করলেও অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয় না। খালের অবৈধ দখল বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ না  নেওয়ায় প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। রাজধানীর খিলগাঁও-বাসাবো খালের অস্তিত্ব এখন মারাত্মক হুমকির মুখে। খালটি খিলগাঁওয়ের ভিতর দিয়ে বাসাবো হয়ে মান্ডা খালে গিয়ে মিশেছে। দুই পাড় বাঁধাই করায় ভিতরের অংশ রক্ষা পেলেও দখল হয়েছে খালের দুই পাড়। খিলগাঁও অংশে ময়লা-আবর্জনা সরানো হলেও ভয়াবহ অবস্থা বাসাবোতে। সেখানে পুরো খালই যেন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়!

খিলগাঁও-বসাবো খালের চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মান্ডা খালের। একসময়ের প্রশস্ত প্রবহমান খালটি এখন কেবলই অতীত। অবস্থা এতই শোচনীয় যে, খালের ময়লা-আবর্জনার ওপর দিয়ে যে কেউ এখন হেঁটে  যেতে পারেন। জায়গায় জায়গায় খালের জমি দখলে নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মুগদা অংশে জমি ভরাট করে একপাশে বানানো হয়েছে রাস্তা। অন্য পাশে উঁচু বাড়ি। সেগুলোতে যেতে অবৈধভাবে দেওয়া হয়েছে একের পর এক পুল। মান্ডা খালের অন্যান্য অংশের অবস্থাও প্রায় এক। দূষণের পাশাপাশি চলছে দখল। সেখানে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন স্থাপনা। দখলদারদের প্রতিহত করার কোনো উদ্যোগ  নেই ঢাকা ওয়াসার। অবশ্য এ নিয়ে কথা বলতে রাজি নয় ঢাকা ওয়াসা।

রাজধানীর মুগদা থানার একটু সামনে মান্ডা ব্রিজ। রাস্তার দুই পাশে সরু ড্রেন। আছে কালো বিবর্ণ পানির কমবেশি প্রবাহ। দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে চলেন পথচারীরা। এই মান্ডা খালটির একসময় পরিধি ছিল অনেক বড়। দখল, ময়লা-আবর্জনায় খালটি এখন ড্রেনে পরিণত হয়েছে। একসময় এ খাল দিয়ে চলত ছোট-বড় নৌযান। পণ্য পরিবহনেও এ খালের গুরুত্ব ছিল বেশ। এখন খালের জমিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থাপনা। রাজধানীর ড্রেনগুলোও এর চেয়ে বড়। অন্যদিকে খিলগাঁও রেলগেট ফ্লাইওভারসংলগ্ন ফার্নিচার দোকানগুলোর সামনে ‘খিলগাঁও-বাসাবো’ খালের নাম সংবলিত ঢাকা ওয়াসার একটি ফলক রয়েছে। এতে খাল দখলমুক্ত রাখতে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কথা লেখা রয়েছে। তবে ফলকটির আশপাশের কোথাও খালের কোনো অস্তিত্ব নেই।

সর্বশেষ খবর