গাজীপুরের টঙ্গীতে আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও জয়দেবপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভিড়ে রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। সকালে হাসপাতালে রোগী ও চিকিৎসকদের আসার আগেই বিক্রয় প্রতিনিধিরা হাজির। প্রত্যেক চিকিৎসকের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন কখন রোগী বের হবেন এবং ডাক্তার কী ওষুধের নাম লিখেছেন তা দেখার জন্য। রোগী ডাক্তারের রুম থেকে বেরোলেই বিক্রয় প্রতিনিধিরা আগলে ধরেন। এ সময় রোগীরা বিভ্রান্তিতে পড়েন।
টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় ২৫০ শয্যা টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও গাজীপুরের জয়দেবপুর সদর এলাকায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই এলাকার অল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র অবলম্বন এই দুটি সরকারি হাসপাতাল। অথচ এখানে সেবা নিতে এসে পড়তে হয় নানা দুর্ভোগে।
একদিকে চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব অন্যদিকে বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভিড়ে দুর্ভোগ রোগীদের। বিভিন্ন ওষুধ কারখানার বিক্রয় প্রতিনিধিরা সরকারি হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসকদের জন্য ফ্রি স্যাম্পল ও বিভিন্ন উপহারসামগ্রী দিয়ে নিজ নিজ কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখতে বলেন। এরপর কোন চিকিৎসক কোন কোম্পানির নাম লেখেন তা দেখতে রোগীদের চিকিৎসাপত্র দেখে ছবি তোলেন। চিকিৎসাপত্র দেখার জন্য রোগীদের গতিরোধ করার ফলে রোগীরা নানা দুর্ভোগের শিকার হন। এ বিষয়ে সেবা নিতে আসা রোগী সালমা আক্তার বলেন, ‘ডাক্তার দেখানোর পর ওষুধ কোম্পানির কিছু লোক পিছু নিয়ে বলে আপা, কী লেখছে দেখি, একটু দেখান-এভাবে বিরক্ত করছে। এতে সময় ক্ষেপণের ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়।’এ ব্যাপারে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল বেলা ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা মৌমাছির মতো জড়ো হন। তাদের নিষেধ করার পরও মানছেন না। ডাক্তার ভিজিট করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে তারা ভিজিট করবে। হাসপাতালে ঢুকে রোগীদের সমস্যা করবে সেটা ছাড় দেওয়া যাবে না।