মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

চিকিৎসা ব্যাহত ডাক্তার ও যন্ত্রপাতির অভাবে

আফজাল, টঙ্গী

চিকিৎসা ব্যাহত ডাক্তার ও যন্ত্রপাতির অভাবে

টঙ্গী স্টেশন রোডে অবস্থিত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালটি টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র অবলম্বন। এখানে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। মানহীন খাবার, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের ভিড়- সবমিলিয়ে হযবরল অবস্থা। এ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের পাশে গড়ে ওঠা বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একদল দালাল হাসপাতালে আসা রোগী নিয়ে করে টানাহেঁচড়া, বিভিন্নভাবে চুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই এমনটি ঘটছে বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।

৫০ শয্যার হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় রূপান্তর হলেও পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না মানুষ। এখানে নেই নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ; নেই চক্ষু বিভাগ, কার্ডিওলোজি, এনেসথেসিয়া, হেপাটলোজি বিভাগ, ফরেনসিক বিভাগ; নেই আইসিইউ সুবিধা, নিউরোলজি, সার্জারি, ক্যান্সার বিভাগ। রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ, রেডিওলোজি ও ইমেজিং বিভাগ, শিশু ও কিডনি বিভাগ নেই। নেই সিটিস্ক্যান মেশিন, নেই এমআরআই, ফিল্মেরর অভাবে চলছে না এক্স-রে মেশিন। রোগী এলেই পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র। করা হয় রেফারড। নামমাত্র সেবা দিয়ে চলছে এই হাসপাতাল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, মানুষকে শতভাগ সেবা দিতে হলে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি লাগবে। যা আমাদের এখানে নেই। আবার টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অনেক রোগীই দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে পড়ছেন। একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র নানা কৌশলে রোগীদের ভাগিয়ে টঙ্গী ও উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। রোগীর স্বজনরা বলছেন, এখানকার খাবারের মান ভালো নয়।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। আমরা ডিজি ও মন্ত্রণালয় বরাবর চাহিদাপত্র দিয়েছি। যা আছে তা দিয়েই আমরা শতভাগ সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর