মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নগরপ্রান্তে অলৌকিক জিয়ৎ পুকুর

নজরুল মৃধা, রংপুর

নগরপ্রান্তে অলৌকিক জিয়ৎ পুকুর

রংপুর নগরীর উপকণ্ঠে জিয়ৎ পুকুর নামে একটি পুকুর রয়েছে। এই পুকুর ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনি। তবে এই পুকুরের দক্ষিণ পাশে শুয়ে রয়েছেন ওলিয়ে কামেল হজরত শাহ সুফি আবু জাফর মদিনী (রহ.)। তিনি সাহাবিদের জমানায় এখানে এসেছিলেন বলে স্থানীয়দের ধারণা। নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ধর্মদাশ এলাকায় এই কামেল ব্যক্তির মাজার। মাজারের সামনের ওই পুকুরকে স্থানীয়রা বলেন জিয়ৎ পুকুর। পুকুরের নাম অনুসারে এলাকাটির নাম হয়েছে জিয়ৎ পুকুর। পুকুর নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রচলিত বিশ্বাস, এক সময় ওই পুকুরে কাটা মাছ ছেড়ে দিলে তা জীবিত হয়ে যেত। এ কারণেই এর নাম জিয়ৎ পুকুর। পুকুরে সব সময় পানি থাকে।

জিয়ৎ পুকুরের দক্ষিণ পাশে হজরত শাহ সুফি আবু জাফর মদিনীর (রহ.) মাজার শরিফ। মাজারের পশ্চিমে বড় সুদৃশ্য একটি মসজিদ। মসজিদের ভিতরে রয়েছে মাঝারি আকৃতির একটি কুয়া (ইন্দারা)। কুয়াটি সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, এই কুয়ায় সারা বছর একহাত পরিমাণ পানি থাকে। অনেকে বিভিন্ন মানতের জন্য পানি নিয়ে থাকেন। কুয়াটি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কুয়ার পাশে পানি তোলার জন্য রশি বাঁধা একটি বদনা রয়েছে। অনেকেই পানি তুলে নিয়ে যান। এই কুয়ার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, ৫০০ মণ খাবার রান্না করা হলেও কুয়ার পানি শেষ হয় না।

মসজিদের পেছনে রয়েছে জিয়ৎ পুকুর দাখিল মাদরাসা। মাদরাসার শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, হজরত শাহ সুফি আবু জাফর মদিনী (রহ.) কবে রংপুরে এসেছিল তা কেউ বলতে পারেন না। তবে মুরব্বিদের কাছে শুনেছি, ওই ওলিয়ে কামেল সাহাবিদের আমলে এখানে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন। এখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

সর্বশেষ খবর