খুলনা মহানগরের যানজট নিরসন এবং যানবাহনের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন স্থানে মূল সড়কে লেন মার্কিং করে গাড়ি রাখা হচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি উদ্যোগেই মূল সড়কের উল্লেখযোগ্য একটি অংশে গাড়ি রাখার জন্য জায়গা নির্ধারণ করে রাখায় সড়কের প্রস্থতা আরও কমে গেছে। এতে যানজটে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে আহসান উল্লাহ কলেজের মূল ফটকের দুই পাশে সড়কে বাঁশ ও সাদা রং দিয়ে লেন মার্কিং করে গাড়ি রাখা হচ্ছে। এখানে পার্কিং লেনে চিকিৎসকের গাড়ি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকে। এ ছাড়া নিউমার্কেটে দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে গেটের পাশে, বাইতুন নূর মার্কেটের গেটের কাছে সড়ক দখল করে পার্কিং লেন করা হয়েছে। এখানে মোটরসাইকেল রাখলে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিতে হয়। পুরাতন যশোর রোডে ডাকবাংলা মোড়ে কয়েকটি ব্যাংকের সামনেও সাদা রং দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ির পার্কিং লেন করা হয়েছে। কেডিএ এভিনিউ সড়ক ও ময়লাপোতা থেকে সাতরাস্তা মোড় পর্যন্ত একইভাবে সড়কের পাশে জায়গা দখল করে গাড়ি রাখা হয়।
নগরবাসীর অভিযোগ, এমনিতে নগরের অধিকাংশ সড়কে একপাশে প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। এখন মূল সড়কের একটি অংশে গাড়ি রাখার জন্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় সড়কের প্রস্থ আরও কমে গেছে। এতে যানজট আরও বাড়ছে। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর মহানগর সভাপতি ইকবাল হোসেন বিপ্লব জানান, ‘নগরের অধিকাংশ বাণিজ্যিক ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং নেই। অফিসের মালিক-কর্মচারী ও আগতদের গাড়ি সড়কের ওপরেই রাখা হয়। কোথাও সড়কের একপাশে সাদা রঙের মার্কিং করে চতুর্ভুজাকৃতির ঘর করা হয়েছে। ওই ঘরের ওপর গাড়ি রাখেন চালকরা। গাড়ি না থাকলেও ওই জায়গাটি বাঁশ বা প্লাস্টিকের প্ল্যাকার্ড দিয়ে আটকে রাখা হয়। এতে সড়কে চলাচলে জায়গা সংকুচিত হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।’ কেএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ফুটপাতে, সড়কে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে মাঝে-মধ্যে অভিযান চালানো হয়। মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সড়কে চলাচলে সব প্রতিবন্ধকতা দ্রুতই উচ্ছেদ করা হবে।