চট্টগ্রামে এক দফা আন্দোলন ও বিক্ষোভকারীদের প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসহযোগী সংগঠন। রবিবার (৪ আগষ্ট) নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দিনভর কয়েকটি স্পটে সরকার দলীয় কর্মী সমর্থক ও বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি অবস্থানের কারণে সংঘর্ষও বেঁধে যায়। তবে যে কোনো মূল্যে মাঠ দখলে রাখার চেষ্টায় ছিলো ক্ষমতাসীনরা।
রবিবার দুপুর ১২টায় নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে গণজমায়েতের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন। তবে তার আগেই সকাল ১০টার পর থেকে নগরীর নিউমার্কেট জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এসময় পুরো এলাকা আন্দোলনকারীদের দখলে চলে যায়। তবে পার্শ্ববর্তী সিটি কলেজ এলাকায় জড়ে হতে থাকে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
দুপুর ১২টার দিকে ক্ষমতাসীনরা নিউমার্কেট মোড়ের দিকে গেলে আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার চেষ্টা করে। সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ নগরীর কাজীর দেউড়ি, আরেকট পক্ষ লালদীঘি মোড়ের দিকে অবস্থান নেয়। পরে আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেয়।
দুপুর ১টার দিকে জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাজীর দেউড়ি এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় নিউমার্কেটের দিক থেকে আসা বিক্ষোভকারীদের সাথে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা কাজীর দেউড়ি এলাকা ছেড়ে ওয়াসা মোড়ের দিকে চলে যায়। পরে সেনা সদস্যদের একটি দল দুই পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এসময় লাঠিসোঁটা নিয়ে কাজীর দেউড়ী এলাকায় অবস্থান নেয় সরকার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এসময় তারা কাজীর দেউড়ি থেকে জামালখান মোড় পর্যন্ত এস এস খালেদ সড়কে মুহুর্মুহু মিছিল স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়াও দিনভর নগরীর একে খান, আন্দরকিল্লাহ, বহদ্দারহাট, বড়পুলসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনভর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য অঙ্গসহযোগী সংগটনের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে মিছিল স্লোগান দিয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘এতোদিন ছাত্রদের আন্দোলনকে আমরা সম্মান করেছি। ওদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম আমরা। কিন্তু এটা এখন আর কোনোভাবেই ছাত্রদের আন্দোলন নেই। যারা আন্দোলন করছে তারা ছাত্র নয়। ওরা দেশকে পাকিস্তান বানাতে চাচ্ছে। আমরা আর ছাড় দিবো না। চট্টগ্রামের মাটিতে কোনো অস্থিতিশীলতা চলবে না। সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল