কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেছেন, ‘গত ১৭ বছরে আটবার সারের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বিশেষ করে ইউরিয়া সারের চারগুণ মূল্য বৃদ্ধি এবং বিগত সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে কৃষি পেশা এখন অলাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে।’
শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি দলীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষক দলের আনন্দ র্যালি পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
হাসান জাফির তুহিন বলেন, ‘বিগত ১৭ বছরে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। কৃষকের মুখে হাসি ছিল না। কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষক দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাসান পলাশ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা চলে গেলেও বিপদ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন করে বিপদ আসার আশঙ্কা আছে। বিএনপির বিরুদ্ধে সবসময় ষড়যন্ত্র হয়। গণতন্ত্রবিরোধীরা আবারও মাথা চাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা যেন সফল হতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর গোটা জাতিকে নির্যাতন করেছে। গণতন্ত্রের মতো দেশের রাজনীতি, অর্থনীতিও ধ্বংস করেছে। ব্যাংক ধ্বংস করেছে। সব জায়গায় দুর্নীতি করেছে। তারা আবারও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ দৌলতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মহসিন চৌধুরী রানা, উত্তর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক বদিউল আলম বদরুল, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব সাবের আহমেদ টারজেন, দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মীর জাকির হোসেন, উত্তর জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন শাহিন।
র্যালিটি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে লাভ লেইন, জুবলী রোড়, তিন পুলের মাথা হয়ে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিডি প্রতিদিন/কেএ