সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ডিম কেনাবেচা করতে না পারায় চট্টগ্রামের বৃহৎ কাঁচাপণ্যের পাইকারী বাজার পাহড়তলী বাজারের ডিমের আড়তে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে পাহাড়তলী বাজারের ১৫টি আড়তে একযোগে তালা লাগিয়ে দেন এগুলোর মালিকরা। এতে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে অন্তবর্তীকালীন সরকার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। সে হিসাবে প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪২ টাকা। তবে এই নির্দেশনা পাত্তা না দিয়ে ডিমের সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে প্রতিটি ডিম সরবরাহ করছে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়। ফলে বাড়তি দামে ডিম বিক্রি না করে ব্যবসায়ীদের উপায় নেই। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি না করলে জরিমানা করছে প্রশাসন। তাই বাধ্য হয়ে ডিম বিক্রি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
লিটন বলেন, সরকার ১০ টাকা ৫৮ পয়সা দরে মধ্যস্বত্বভোগী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে ডিম কেনার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু সরকারের নির্দেশনাটি কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ রেখেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদেরকে পেঅর্ডার দিতে বলে সরকার নিধারিত মূল্যে। পরে বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করছে। এর প্রতিবাদ করায় তারা ডিম সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত সরবরাহকারীরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম সরবরাহ করবে না আমরাও ততদিন আড়ত বন্ধ রাখবো।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আড়ত বন্ধ থাকলে খুচরা পর্যায়ে দামে প্রভাব পড়বে। প্রশাসন, খুচরা-পাইকারি, মধ্যস্বত্বভোগী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা দরকার।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ জানিয়েছেন, আড়তদারদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ