বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহ সম্পাদক (অনলাইন) মো. কবিরুল ইসলামের বাবা মো. আতিয়ার রহমানকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন নিঃস্বার্থ ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ আগস্ট যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা বাজারে কবিরুল ইসলামের বাবা মো. আতিয়ার রহমানের ওপর হামলা হয়। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন ও তার ভাই জাকির হোসেন পান্নার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ভুক্তভোগীকে উপর্যপুরি রামদা, জিআই পাই, লোহার রড বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হন। প্রাথমিকভাবে তাকে কেশবপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে যশোরে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় গত ১৬ আগস্ট কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মেয়ে লিপি খাতুন (মামলা নম্বর ৩)। এছাড়া অভিযুক্ত আলমগীরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা বিএনপি এবং জেলা বিএনপির কাছে লিখিত আবেদন প্রদান করা হয়। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহ পরও জেলা বিএনপি কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
গ্রেফতার এবং সাংগঠনিক শাস্তি এড়াতে অভিযুক্ত আলমগীর বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ শুরু করে। এরপর শুক্রবার মামলার প্রধান আসামি আলমগীর এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘আমি মো. আলমগীর হোসেন ১১ নম্বর ইউনিয়ন (কেশবপুর উপজেলা, জেলা যশোর) বিএনপির আহ্বায়ক। গত ১৪ আগস্ট ভাণ্ডারখোলা বাজারে প্রিয় ছোট ভাই সাংবাদিক কবিরের বাবা মো. আতিয়ার রহমানের ওপর হামলা হয় যা অত্যন্ত অনাকাঙিক্ষত ও অনভিপ্রেত। ঘটনার আকস্মিকতায় এটা ঘটে যায় যার কারণে আমি ঘটনাস্থলে থাকা সত্ত্বেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। এলাকাবাসীর একজন অভিভাবক হিসেবে এরজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, লজ্জিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।’’
এ বিষয়ে সাংবাদিক মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবুল হোসেন আজাদের উপস্থিতিতে মো. আলমগীর হোসেন তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। নিঃস্বার্থ ক্ষমা প্রার্থনা করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি প্রচার করেছেন। এছাড়া আগামী বুধবার (২৮ আগস্ট) তার সরাসরি আমার বাবার কাছে যেয়ে ক্ষমা প্রার্থনার কথা রয়েছে।