দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সহ-সম্পাদক (অনলাইন) মো. কবিরুল ইসলামের বাবাকে হত্যাচেষ্টায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি জেলা বিএনপি। থানায় মামলা হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। বেপরোয়া হামলাকারীরা ফের হামলার হুমকি দিচ্ছে।
গত ১৪ আগস্ট যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা বাজারে কবিরুল ইসলামের বাবা মো. আতিয়ার রহমানের ওপর হামলা হয়। ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন ও তার ভাই জাকির হোসেন পান্নার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ভুক্তভোগীকে উপর্যপুরি রামদা, জিআই পাই, লোহার রড বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে আতিয়ার রহমান গুরুতর আহত হন। প্রাথমিকভাবে তাকে কেশবপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখান থেকে যশোরে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য কেশবপুর থেকে একাধিকবার বিএনপির হয়ে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আবুল হোসেন আজাদের প্রকাশ্য সমর্থনে হামলাকারীরা বেপরোয়া। দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে অপরের জমি দখল, চাঁদাবাজি, হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল হোসেন আজাদ এই প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপে লেখেন, আমি সন্ত্রাস লালন করি না এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেই না। যে অন্যায় করবে তার শাস্তি পেতে হবে। আমার যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে তো আমি ব্যবস্থা নিতাম।
ভুক্তভোগীর ছেলে কবিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধমে গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যে কাজ করেছে, বিএনপির নামে একদল দুর্বৃত্ত সেই কাজ করে দলের দুর্নাম ডেকে আনছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অপরাধীদের দল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আশা করবো, জেলা বিএনপি অবিলম্বে অভিযুক্তকে বহিষ্কার করবে। এসময় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী পরিবারের সন্তান আলমগীর বিএনপিকে ফাঁসাতে এই কাজ করেছে কিনা সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে।
এদিকে থানায় মামলার পরেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) রাজু আহমেদ বলেন, ৯ জন আসামি ইতোমধ্যে জামিন নিয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার সাতদিনেও অভিযুক্ত আলমগীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম বলেন, আমরা লিখিত আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি দেখছি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত