এক বছর ৩৬৫ দিন ধরে কারাগারে আছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তার প্রভাব দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি কি আদৌ কারাগারে আছেন। কারণ, এখনো পাকিস্তানের বিরোধী রাজনীতির প্রভাবশালী শক্তি ইমরান খান। কাগজপত্রে ও আদালতে তার নাম আসছে নিয়মিত, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ইমরানের সমর্থকরা ‘অদম্য’। জনসমক্ষে আসতে না পারলেও এই সাবেক ক্রিকেট তারকার সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে আসা অল্প কিছু মানুষ বহির্বিশ্বের কাছে তার (ইমরান খানের) বার্তা পৌঁছানোর একমাত্র দূত হয়ে উঠেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন তার আইনজীবীরা ও পরিবার। ইমরান খানের বোন আলিমা খানম বলেন, ‘ওর মধ্যে একটা সদম্ভ ব্যাপার আছে। ওর কোনো চাহিদা নেই, কোনো চাওয়াপাওয়া নেই। আছে শুধুমাত্র একটা উদ্দেশ্য।’ যারা দেখা করতে যান তাদের মতে, এই সাবেক ক্রিকেট তারকার দিন কাটে এক্সারসাইজ বাইকে কসরত করে, বই পড়ে এবং ভাবনাচিন্তা করে। উঠোনে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তার হাতে দিনে এক ঘণ্টার মতো সময় থাকে। পরিবার কত তাড়াতাড়ি তাকে নতুন বই সরবরাহ করতে পারে তা নিয়ে অবশ্য মাঝে মাঝে মতবিরোধও দেখা যায়। কিন্তু বাস্তব বিষয় হলো- ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি এখনো কারাগারে আটক আছেন এবং তাদের মুক্তি পাওয়ার কোনো লক্ষণ খুব শিগগির দেখা যাচ্ছে না। কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন, এটা খুব একটা আশ্চর্য হওয়ার বিষয় নয়। ‘কারাগারে এক মিনিটও সময় নষ্ট করছেন না বলে জানিয়েছেন উনি (ইমরান খান)। এটা তার কাছে আরও জ্ঞান অর্জন করার একটা সুযোগ,’ বিবিসিকে বলছিলেন আলিমা খানম।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টার থিংক ট্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী হলো পর্দার আড়ালে থাকা আসল শক্তিশালী খেলোয়াড়। তার কথায়, ‘তারা যখন সিদ্ধান্ত নেয় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বন্দি রাখার, তখন তারা এত চট করে শান্ত হয় না। ইমরান খানের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে।’