একটানা তিন দিন তুমুল বৃষ্টি। তার জেরেই ভেসে গেছে কাঠমান্ডুসহ নেপালের প্রায় সব রাস্তাঘাট। আর ব্যাপকভাবে ঘটেছে পাহাড় ধসের ঘটনা। এতে গতকাল পর্যন্ত অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ জন। পানির তোড়ে ভেসে নিখোঁজ আরও ৪৪ জন। শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে উদ্ধারকাজ। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার বাসিন্দাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভারী বৃষ্টির মধ্যে শুক্রবার থেকে নেপালে বহু বিমান বাতিল করা হয়েছে। কাঠমান্ডু বিমাবন্দরে সব ঘরোয়া উড়ান বাতিল করা হয়েছে। মোট ১৫০টি বিমান বাতিল হয়েছে এখন পর্যন্ত। ধসের কারণে ২৮টি জায়গায় জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ। দেশজুড়ে ২ শতাধিক জায়গায় ধস ও বন্যার খবর পাওয়া গেছে। বন্যা এবং ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমালয়ের পাদদশে অবস্থিত রাজধানী কাঠমান্ডু ও এর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজধানী কাঠমান্ডুতে গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। তাছাড়া ভূমিধসের কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাজধানীর কিছু অংশে সর্বোচ্চ ৩২২ দশমিক ২ মিলিমিটার (১২ দশমিক ৭ ইঞ্চি) বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে অঞ্চলটির প্রধান নদী বাগমতির পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ২ মিটার (৭ ফুট) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতি বছর বৃষ্টির মৌসুমে নেপালে হড়কা বান ও ভূমিধসে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়।