ইসলাম এতিমের লালন-পালন ও দায়িত্ব গ্রহণকে উৎসাহিত করেছে। তবে পালক সন্তানের পরিচয় মুছে ফেলতে নিষেধ করেছে। তাই পালক সন্তান তার পিতার নামেই নিজের পরিচয় দেবে, পিতার নাম জানা না গেলে মায়ের নামে পরিচয় দেবে। কিন্তু পালক বাবার নামে নিজের পরিচয়ে দেবে না।
পিতার পরিচয় মুছে ফেলবে না
জেনে-বুঝে নিজের পিতার পরিচয় অস্বীকার করা ইসলামে নিষিদ্ধ। আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে তার পিতাকে বাদ দিয়ে অন্য ব্যক্তির পরিচয় গ্রহণ করল সে কুফরি করল। যে ব্যক্তি নিজেকে এমন কোনো গোত্রের পরিচয় দেয়, যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক নেই, সে যেন জাহান্নামে তার স্থান করে নেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৩১৭ ও সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬১)
অন্যকে পিতা ডাকার ক্ষতি
নিজের পিতাকে অস্বীকার করে অন্যকে পিতা বলার কিছু ধর্মীয় ক্ষতি রয়েছে। যার অন্যতম হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল হিসেবে গ্রহণ করা। যেমন—
১. পালক পিতার সন্তানের সঙ্গে বিয়ে : ইসলাম পালক পিতা ও তার ঔরসজাত সন্তানের পালক সন্তানের বিয়ে বৈধ করেছে। অথচ পিতা পরিচয় দিলে তাদের সঙ্গে বিয়ে হারাম বলতে হয়।
২. উত্তরাধিকার লাভ : ইসলাম কেবল ঔরসজাত সন্তানের জন্য সম্পত্তির অংশ নির্ধারণ করেছে। অথচ কাউকে পিতা পরিচয় দিয়ে কখনো মানুষ সম্পত্তির অংশীদার হয়ে যায়, যা সরাসরি জুলুম এবং বিরোধ-বিবাদের কারণ।
৩. বংশপরিচয় মুছে যাওয়া : ইসলাম বংশপরিচয় ও রক্তের ধারা সংরক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। অন্যকে পিতা ডাকলে তা সংরক্ষণ করা যায় না।
এতিমদের যেভাবে গ্রহণ করব
আল্লাহ এতিমদের দ্বিনি ভাই বা বোন হিসেবে গ্রহণ করতে বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা আপনাকে এতিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলে দিন তাদের পুনর্বাসনই উত্তম। তোমরা যদি তাদের সঙ্গে একত্রে থাকো তবে তারা তো তোমাদেরই ভাই।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২২০)
আল্লাহ সবাইকে দ্বিন বোঝার তাওফিক দিন। আমিন।