সিলেটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন শিপনকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল ভোররাতে হবিগঞ্জের মাধবপুরের গোপীনাথপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হবিগঞ্জ ডিএসবির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মঈন উদ্দিনের বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র মজুত আছে এমন তথ্য পেয়ে বিজিবির ৫৫ ব্যাটেলিয়ন টাস্কফোর্স অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধ অস্ত্র না পেয়ে পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মঈন উদ্দিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাধবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে মঈন উদ্দিনের কাছে কোনো অবৈধ অস্ত্র মজুত থাকার সত্যতা না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল সকালে টাস্কফোর্সের অভিযানে ?পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মঈন উদ্দিনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের পর সিলেট কোতোয়ালি থানা থেকে মঈন উদ্দিনকে ওএসডি করে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তবে তিনি কীভাবে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তা জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। ঘটনার এক মাস পর নিহতের ভাই আবুল আহসান মো. আযরফ (জাবুর) বাদী হয়ে ১৯ আগস্ট সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে। ওই মামলায় পুলিশসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়।