রংপুরকে তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করতে হাইটেক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দুই-তিন দিন আগে হাইটেক নির্মাতা ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে স্বদেশ ভারতে চলে যান। হাইটেক পার্ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছিল। পার্ক নির্মাণকাজ কবে নাগাদ আবার শুরু হবে কেউ বলতে পারছেন না। হাইটেক পার্কটি চালু হলে এ অঞ্চলে অর্থনীতির গতি আসার সঙ্গে সঙ্গে এ প্রকল্পে কর্মসংস্থান হতো ৫ হাজার মানুষের।
জানা গেছে, রংপুর নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খলিশাকুড়ি এলাকায় প্রায় ৯ একর জমিতে হাইটেক পার্ক নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালে। নির্মাণে বরাদ্দ হয় ১৭৬ কোটি টাকা। এখানে একটি সাত তলা, একটি তিন তলা ভবন নির্মাণের কাজ চলমান ছিল। পরিকল্পনায় আড়াই শ আসনের একটি সিনেপ্লেক্স করার কথা ছিল। ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এ পর্যন্ত। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েকদিন আগে ভারতীয় ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে চলে যান। তখন থেকে কাজ বন্ধ। অত্যাধুনিক এই তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রটির প্রতি এখানকার মানুষের আগ্রহ ছিল। বর্তমানে পার্কে তথ্যপ্রযুক্তি অর্থাৎ আইটিসংক্রান্ত সব কাজ করার পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে শুরু করেছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
রংপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা দোকান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী মো. জুননুন বলেন, হাইটেক পার্ক প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে নতুন গতি আসত। তিনি প্রকল্পটি পুনরায় চালু করার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। হাইটেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক বলেন, তিন তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। ভারতীয় ঠিকাদাররা চলে যাওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত এর কাজ আবার শুরু হবে। সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০২২ সালের ২৬ মে ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই পার্কের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।