দুর্গাপূজা ঘিরে এবার ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৫৩৩ টন ইলিশ। যা থেকে সরকারের আয় হয়েছে ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। গতকাল ছিল ভারতে ইলিশ রপ্তানির সরকার নির্ধারিত শেষ দিন। এ বছর আর কোনো ইলিশ রপ্তানি হবে না। বেনাপোল কাস্টমস সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রটি জানান, চলতি মৌসুমে ভারতে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ। কিন্তু দেশের বাজারে ইলিশ সংকটের কারণে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। শনিবার শেষদিন পর্যন্ত ৫৩৩ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। যা থেকে সরকারের আয় ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। শনিবার রাতে ৪১ টন ইলিশ রপ্তানির মধ্য দিয়ে শেষ হলো চলতি বছরের ইলিশ রপ্তানি।
সূত্র মতে, পশ্চিম বাংলার ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এ বছর ৫০ জন রপ্তানিকারককে ভারতে মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু অনুমতিপ্রাপ্ত মাত্র ২০ জন রপ্তানিকারক ইলিশ রপ্তানি করেছেন। বাকি ৩০ রপ্তানিকারক আদৌ কোনো মাছ রপ্তানি করতে পারেননি। বেনাপোল মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, অনুমতি প্রদানের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় ভারতে ইলিশ রপ্তানি। প্রথম দিন ১০ জন রপ্তানিকারকের প্রতিষ্ঠান থেকে ৫৪ টন ইলিশ রপ্তানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাছ রপ্তানি কার্যক্রম। চলতি বছরে বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা। বাজার মূল্যের চেয়ে এ বছর রপ্তানিকৃত ইলিশের দাম বেশ কম ছিল। রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি করা হলে আরও বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যেত বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।