১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের কারণে ইরাক-কুয়েত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৭২ হাজার বাংলাদেশি শরণার্থীর সঙ্গে প্রতারণার শিকারের অভিযোগ করেছে ইরাক-কুয়েত প্রত্যাগত সমিতি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি মো. মিজানুল হক মিজান, মো. আবু তাহের সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতিসংঘ ক্ষতিপূরণ কমিশন থেকে লেইট ক্লেম এর অর্থ, ৩৩৪ প্রত্যাগত এবং ৪৪৪ যুদ্ধবন্দির ক্ষতিপূরণের অর্থ অদ্যাবধি পাওয়া যায়নি। সোনালী ব্যাংকে জমাকৃত কুয়েতি দিনার অদ্যাবধি ফেরত দেওয়া হয়নি।
কুয়েতের আমির বাংলাদেশে সফরকালে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কুয়েত প্রত্যাগত বাংলাদেশিদের ৯ মাসের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি এসব প্রত্যাগত ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের ৯ মাসের বকেয়া বেতনের অর্থ আদায়ে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়নি। উপসাগরীয় যুদ্ধের সময়ে ইরাক-কুয়েতের ব্যাংকে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীদের জমাকৃত লাখ লাখ মার্কিন ডলার অদ্যাবধি উদ্ধার করা হয়নি। একজন যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান করে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করে অবিলম্বে প্রত্যাগতদের প্রস্তাবিত দশ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।