শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৪

এক প্রেম : এক সাম্রাজ্যের বিনাশ

হেলেন ও প্যারিস’র প্রেম

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
হেলেন ও প্যারিস’র প্রেম

পর্ব-৩

হঠাৎই রাজ্যের বিপদ টের পেয়ে বাজানো হয় রাজঘণ্টা। প্রজারা ছোটাছুটি করতে থাকে দিগি¦দিক। প্রাসাদ থেকে হেক্টর ও পিতা প্রিয়াম দেখতে পান শত শত জাহাজ ধেয়ে আসছে ট্রয়ের দিকে। মুহূর্তের মধ্যেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় গোটা সাম্রাজ্য। এদিকে গোপনে গভীর রাতে ট্রয় থেকে পালিয়ে যেতে চান হেলেন। কিন্তু ধরা পড়েন হেক্টরের হাতে। হেক্টর তাকে সাহস দেন আর বিজয় ট্রয়েরই হবে বলে আশ্বস্ত করেন। ফলে ট্রয়েই থেকে যান হেলেন। জাহাজ থেকে নেমেই যুদ্ধ শুরু করেন একিলিস ও তার সঙ্গীরা।

প্রসঙ্গান্তরে  বলে  রাখা  দরকার  যে,  জাত মহাকাব্য (Authentic Epic) হোক  কিংবা হোক তা  সাহিত্যিক মহাকাব্য (Literary Epic),  প্রত্যেক  মহাকাব্যের  সূচনা পঙ্ক্তিগুলো  এক বিশেষ  তাৎপর্য  বহন করে। প্রথম পঙ্ক্তিই  বলে  দেয়  এই মহাকাব্যের  প্রধান  উপজীব্য  কি। যেমন  ‘প্যারাডাইস  লস্ট’-এর  সূচনা পঙ্ক্তিতে বলা হয়েছে-  ‘মানুষের প্রথম অবাধ্যতা এবং সেই নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল, যার নশ্বর স্বাদ মর্ত্যে  এনেছে মৃত্যু এবং আমাদের সমস্ত দুর্ভোগ।’  ‘ওডিসি’র  সূচনা  হয়েছে  ‘বহুকৌশলী  মানুষটির কথা, যিনি ট্রয়ের পবিত্র দুর্গকে ধ্বংস করার পর অনেক পথ ঘুরেছেন।’ বোঝাই যাচ্ছে, এ মহাকাব্যের উপজীব্য ইউলিসিস। দান্তের ‘দি ডিভাইন কমেডি’ সূচিত হয়েছে এভাবে- ‘আমি দেখতে পেলাম যে আমি একটি তমসাচ্ছন্ন  বনের  মধ্যে ছিলাম, কারণ যে পথটি সঠিক দিকে নিয়ে গিয়েছিল তা হারিয়ে গেছে।’ এই একটি  বাক্যই ঈশ্বরের দিকে লেখকের যাত্রা সম্পর্কে নির্দেশ করে। ‘রামায়ণ’-এর সূচনায় ‘ঋষি বাল্মীকি নারদকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, পৃথিবীতে এখনো একজন ধার্মিক মানুষ অবশিষ্ট আছে কি না, যার উত্তরে নারদ জানান যে, এই রকম একজন মানুষ হলেন রাম।’

মহাভারতের সূচনা শ্লোক ‘নারায়ণম নমস্কৃত্য নরম চৈব নরোত্তম দেবীম সরস্বতীম ব্যসাম ততো জয়ম উদিরায়েত’ এর  অর্থ ‘ওম! নারায়ণ এবং নরকে প্রণাম করার পর, সর্বোত্তম পুরুষ এবং দেবী সরস্বতীকেও জয়া শব্দটি উচ্চারণ করতে হবে।’ সহজেই  অনুমেয়  যে, এ মহাকাব্য  ঈশ্বর ও মানুষের গাথা। ‘সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি/বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে/অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি/কোন্ বীরবরেবরি সেনাপতি-পদে,/ পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি/ রাঘবারি?’ আমাদের নিশ্চয়ই বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না যে, এটি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’র সূচনা। সেই রীতিই অনুসৃত হয়েছে মহাকাব্য ‘ইলিয়াড’-এর  সূচনায়-  ‘...of the wrath of Achilles...’ অর্থাৎ এ্যাকিলিসের ক্রোধ  বা  রোষ  দিয়েই সূচিত হয় এই মহাকাব্যের কাহিনি, যা  পরবর্তীতে  কাহিনিকে  এগিয়ে  নিয়ে যাবে  মহাকাব্যিক  আদলে। বলা বাহুল্য, মহাকাব্যের কেন্দ্রীয় চরিত্র এ্যাকিলিস ওই যুদ্ধের মহানায়ক তথা শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।

এ্যাকিলিস  গ্রিক পৌরাণিক চরিত্র। মায়ের নাম জলদেবী থেটিস এবং পিতা ছিলেন মিরমিডনের রাজা পেলেউস। থেটিস অত্যন্ত সুন্দরী ছিলেন। এই কারণে দেবরাজ  জিউস এবং সমুদ্র, ঝড় ও ভূমিকম্পের দেবতা  পোসেইডোন তাকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মকানুন নিয়ন্ত্রণকারিণী দেবী থেমিস এক ভবিষ্যৎ বাণীতে বলেন যে, থেটিসের গর্ভজাত পুত্র তার পিতার চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান হবেন। তাই জিউস এবং পোসেইডোন থেটিসকে বিয়ে করার ইচ্ছা ত্যাগ করেন। একই কারণে কোনো দেবতাই তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হননি। তিনি দেবতার পরিবর্তে মরণশীল মানবসন্তানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি বিয়ে করেন পেলেয়ুস নামক এক মানবসন্তানকে। উল্লেখ্য, কোনো কোনো মতে এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন প্রোমিথেয়ুস বা ক্যাল্কাস। পেলেয়ুসের সঙ্গে বিয়ের পর, তারা পেলিওন পর্বতে বিয়ে-উৎসব উদযাপন  করেন এবং পেলেয়ুসের ঔরসে, তার গর্ভে এ্যাকিলিসের জন্ম হয়।

খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে স্ট্যাটিয়াস রচিত অ্যাকিলেইড-এর অ্যাকিলেইস খন্ডাংশ থেকে জানা যায়, এ্যাকিলিসের জন্মের পর সন্তানকে অমর করার জন্য থেটিস এ্যাকিলিসের পায়ের গোড়ালি ধরে স্টিক্স নদীতে একবার নিমজ্জিত করেন। থেটিস গোড়ালির যে অংশ ধরে ছিলেন, সেই অংশে নদীর পানি স্পর্শ না করায় গোড়ালি দৈব সুরক্ষা পায়নি। অমরত্ব লাভ করতে পারেনি কেলিস। স্টিক্স নদী হলো প্রধান পাতাল নদী যার মাধ্যমে ফেরিম্যান চ্যারন মৃতদের আত্মাকে মৃত্যুপুরি হেডিসে নিয়ে যায়। গ্রিক পৌরাণিক কাহিনিতে আন্ডারওয়ার্ল্ড ছিল যেখানে মৃতদের আত্মা বাস করতো এবং স্টিক্স নদী আন্ডারওয়ার্ল্ডের মৃতদেরকে অপর পাশের জীবিতদের থেকে আলাদা করে রাখে। এ্যাকিলিস যুদ্ধবিদ্যা শিখেছিলেন সেন্টায়ুর্সদের দলনেতা চিরোন-এর কাছে। অচিরেই তিনি গ্রিকের প্রখ্যাত বীর হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। ট্রয় যুদ্ধের জন্য গ্রিকরা সমবেত হতে থাকলে গ্রিকরা এ্যাকিলিসের সন্ধান করতে থাকে। কিন্তু থেটিস আগে থেকেই জানতেন যে, ট্রয়যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে এ্যাকিলিসের মৃত্যু অবধারিত। তাই তিনি এ্যাকিলিসকে রাজা লাইকোমেডেসের প্রাসাদে নারীর পোশাক পরিয়ে প্রাসাদের নারীদের ভিড়ের মধ্যে  লুকিয়ে রাখেন। শেষ পর্যন্ত ওডিসিয়াস (ইউলিসিস) কৌশলে তাঁর সন্ধান পান এবং ট্রয় যুদ্ধে অংশগ্রহণে রাজি করান।

হোমারের ইলিয়াড মহাকাব্যের শুরুতেই দেখা যায়, আকিয়ান বাহিনীর প্রধান সেনাপতি আগামেনন এ্যাকিলিসকে অপমান করেন। এই কারণে এ্যাকিলিসের যুদ্ধ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। উল্লেখ্য, আগামেনন ক্রিসেইস নামের একটি মেয়েকে ক্রীতদাসী করে রেখেছিলেন। মেয়েটির বাবা ক্রিসেস ছিলেন অ্যাপোলোর মন্দিরের পুরোহিত। তিনি আগামেননের কাছে নিজ কন্যাকে ভিক্ষা চাইলে অ্যাগামেনন তাকে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেন। এতে অ্যাপোলো ক্রুদ্ধ হয়ে গ্রিকদের মধ্যে মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঘটান। ভবিষ্যদ্বক্তা ক্যালকাস এই দুর্বিপাকের কারণ সঠিকভাবে অনুধাবন করেন এবং পরিত্রাণের উপায় হিসেবে  ক্রিসেইসকে তার পিতার কাছে ফেরত পাঠানোর পরামর্শ দেন। আগামেনন রাজি হন। কিন্তু এর বিনিময়ে আদেশ করেন, এ্যাকিলিসের যুদ্ধোপহার ব্রিসেইসকে ক্রিসেইসের বদলে তাঁর কাছে পাঠাতে হবে। এতে এ্যাকিলিস অসম্মানিত-অপমানিত বোধ করেন। কারণ, এ্যাকিলিস ব্রিসেইসকে ভালোবাসতেন। সেই  কারণের  সঙ্গে  যোগ  হয়  থেটিসের প্ররোচনা। এ্যাকিলিস যুদ্ধে  অংশ  নিতে  এবং  তাঁর সেনাদের অন্যান্য গ্রিক সেনাদের সঙ্গে পরিচালনা করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ্যাকিলিসের অনুপস্থিতিতে যুদ্ধ গ্রিকদের বিপক্ষে চলে যেতে থাকে। যুদ্ধে জয়লাভের জন্য এ্যাকিলিসের যুদ্ধে যোগদান করাটা অপরিহার্য হয়ে পড়ে। আগামেনন বাধ্য হয়ে ওডিসিয়াস, অন্য দুই গ্রিক প্রধান, ব্রিসেইস এবং অন্যান্য উপহার এ্যাকিলিসের কাছে পাঠান। কিন্তু এ্যাকিলিস  প্রত্যাখ্যান করে জানান যে, গ্রিকদের উচিত স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করা।

ট্রয় সেনাপতি হেক্টরের নেতৃত্বে ট্রোজানরা গ্রিক বাহিনীকে হটিয়ে সৈকত পর্যন্ত নিয়ে আসে। সেখানে তারা গ্রিক জাহাজগুলো লুণ্ঠন করে। এমন অবস্থাতেও এ্যাকিলিস তাঁবুতেই রয়ে যান। ধ্বংসের মুখোমুখি গ্রিক বাহিনীকে রক্ষার জন্য মিরমিডন বাহিনীকে নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসেন প্যাট্রোক্ল্যাশ। প্যাট্রোক্ল্যাশ ট্রোজানদের সৈকত থেকে হটিয়ে দিতে সমর্থ হন। কিন্তু ট্রয় নগরীকে যথার্থভাবে জয় করার আগেই হেক্টরের হাতে তিনি নিহত হন। প্যাট্রোক্লাস ছিলেন এ্যাকিলিসের যুদ্ধকালীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরবর্তী কিছু প্রাচীন সূত্র দ্বারা অনুমান করা হয় যে, সে ছিল  এ্যাকিলিসের প্রেমিক।

এ্যাকিলিসের প্যাট্রোক্ল্যাসের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। এ্যাকিলিস তাঁর সম্মানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার  আয়োজন করেন। এই সময় তার মা থেটিস শোকাহত এ্যাকিলিসকে সান্ত¡না দিতে এলেন। তিনি দেবতাদের কামারশালা, শিল্প-কুশলতা, উদ্ভাবন, আগুন এবং আগ্নেয়গিরির দেবতা হেফাস্টাসকে দিয়ে নতুন একটি বর্ম নির্মাণ করালেন। কারণ এ্যাকিলিসের যে বর্মটি পরে প্যাট্রোক্ল্যাস যুদ্ধে গিয়েছিলেন, সেটি হেক্টর নিয়ে গিয়েছিলেন। এ্যাকিলিসের বর্মের  প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে। এটি  সভ্যতার একটি ক্ষুদ্র পৃথিবীর  প্রতিনিধিত্ব করে, যার মধ্যে জীবনের সব দিক দেখানো হয়। আইনের চিত্রায়ণ একটি শহরের মধ্যে সামাজিক শৃঙ্খলার অস্তিত্বের নির্দেশক এবং  বিবদমান সেনাবাহিনী মানবতার একটি অন্ধকার দিক চিত্রিত করে। আগ্রহী  পাঠকগণ ডব্লিউ এইচ অডেন-এর অনবদ্য  কবিতা ‘এ্যাকিলিসের বর্ম’ পড়ে দেখতে  পারেন- যার  মূল আখ্যানবস্তু হলো ‘যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং সহিংসতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে উদাসীনতা প্রদর্শন।’

প্যাট্রোক্ল্যাসের মৃত্যুতে ক্রোধান্বিত এ্যাকিলিস মন পরিবর্তন করেন এবং যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ক্রোধের বশে তিনি অনেককে হত্যা করেন এবং হেক্টরকে খুঁজতে থাকেন। এমনকি এ্যাকিলিস দেব দেবীদের সঙ্গে যুদ্ধে  জড়িয়ে পড়েন। এই সময় জিউস স্বয়ং এ্যাকিলিসের ক্রোধে বিচলিত হয়ে ওঠেন এবং দেবতাদের পাঠিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এথেনা তিনবার হেক্টরের প্রিয় ভাই ডেইফোবাসের ছদ্মবেশে হেক্টরকে এ্যাকিলিসের সঙ্গে সম্মুখসমরে যেতে নিষেধ করেন। এ্যাকিলিস ট্রয়ের প্রাচীরের চারিধারে তিনবার হেক্টরকে ধাওয়া করেন। শেষপর্যন্ত হেক্টর যুদ্ধক্ষেত্রে এ্যাকিলিসের মুখোমুখি হন। দীর্ঘ যুদ্ধের পর ১২তম দিনের যুদ্ধে এ্যাকিলিস হেক্টরকে বধ করেন। এরপর হেক্টরের দেহ নিজের রথের সঙ্গে বেঁধে নয় দিন ধরে যুদ্ধক্ষেত্রময় তা হেঁচড়ে নিয়ে বেড়ান।

হেক্টর ছিলেন ট্রয়ের যুবরাজ এবং মহাযোদ্ধা। তিনি রাজা প্রিয়াম এবং রানি হেকুবার প্রথমজাত পুত্র। তাকে একজন  সুযোগ্য রাজপুত্র এবং তার পিতার সিংহাসনের যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে গড়ে তোলা হয়। হেক্টর অ্যান্ড্রোমাচির সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন, যিনি ছিলেন তার স্ত্রী এবং তার প্রথম এবং একমাত্র শিশু পুত্র স্ক্যামান্ড্রিয়াসের মা, যাকে ট্রয়ের লোকেরা আস্তিয়ানাক্স নামে চিনতো।

পুরো ট্রয়যুদ্ধ জুড়ে হেক্টর ট্রয়বাসীর জন্য গৌরব বয়ে এনেছিলেন। কারণ তিনি ছিলেন তাদের সেরা যোদ্ধা এবং উত্তরাধিকারী। তিনি রাজ্যের সব লোকদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয় এবং কখনো লড়াইকে প্রত্যাখ্যান না করার জন্য পরিচিত ছিলেন। সবার প্রতি ছিলেন দয়াবান। সেরা যোদ্ধা ছিলেন বিধায় গ্রিকরা তাকে ঘৃণা ও ভয় করতেন। তিনি যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন, তাদের বাধার  প্রাচীর ভেঙে দিলেন এবং তাদের সৈন্যদের হত্যা করলেন। যদিও তিনি প্যাট্রোক্লাসকে হত্যা করার পর এ্যাকিলিস পুনরায় যুদ্ধে প্রবেশ করেন এবং ট্রোজানরা তাতে নাস্তানাবুদ হয়ে যায়।

এ্যাকিলিসের দ্বারা একক যুদ্ধে হেক্টর নিহত হন। হেক্টরের বাবা-মা ট্রয়ের দেয়ালে বসেছিলেন, তাকে নিরাপদ দেয়ালের মধ্যে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। হেক্টর তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ্যাকিলিসের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, রক্তপাত ছাড়াই বিবাদের সমাধান করার প্রয়াসে। কিন্তু এ্যাকিলিস তার ঘনিষ্ঠ যুদ্ধকালীন সঙ্গী প্যাট্রোক্লাসকে হত্যা করার কারণে যুক্তিকে প্রাধান্য না দিয়ে ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন। 

এ্যাকিলিস তিনবার ট্রয়ের মূল ফটকের চারপাশে হেক্টরকে তাড়া করেন। অ্যাপোলো হেক্টরকে শক্তি দিয়েছিল, যাতে সে সবসময় নেতৃত্বে থাকতে পারে। এথেনা তার প্রিয় ভাই ডেইফোবাসের ছদ্মবেশ নিয়ে তাকে বলেছিলেন যে, তারা একসঙ্গে এ্যাকিলিসের মুখোমুখি হতে পারে। তার জেতার সুযোগ থাকতে পারে ভেবে প্রতারিত হয়ে, হেক্টর এ্যাকিলিসের জন্য অপেক্ষা করেন। তারপর তিনি প্রস্তাব করেন যে, যে কেউ জিতবে, সে অন্যের দেহের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং লাশ স্বজনদের কাছে  ফিরিয়ে দেবে যাতে তারা যথাযথভাবে তাকে সমাধিস্থ করতে পারে। এ্যাকিলিস এই বলে প্রত্যাখ্যান করেন যে, ‘আমাদের মধ্যে কোনো প্রেম ছিল না। অন্যের পতন না হওয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি নেই’। একটি সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ের পর, এ্যাকিলিস হেক্টরকে তার গলায় ছুরিকাঘাত করে। যার ফলে তার অকাল কিন্তু ভাগ্যবান মৃত্যু ঘটে। হেক্টর তখন এ্যাকিলিসের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছিলেন যে, প্যারিস এবং অ্যাপোলো তাকে হত্যা করবে।       

হেক্টরবধের পর এ্যাকিলিস হেক্টরের বর্ম খুলে ফেলেন। তখন অন্য গ্রিকরা হেক্টরের দেহ দেখতে এবং ছুরিকাঘাত করতে জড়ো হয়েছিল। কিন্তু এ্যাকিলিস বিজয়সূচক একটা সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে মৃত হেক্টরের গোড়ালিতে কাছি পেঁচিয়ে তার রথের সঙ্গে বেঁধে নেন। তাকে ট্রয় শহরের চারপাশে টেনে নিয়ে যান। ট্রোজানরা তখন ব্যস্ত তাদের দেয়ালের নিরাপত্তায়।

চলছে  আকাশ-বাতাস  কম্পিত  করা  বিলাপ-রোদন  বিশেষ করে  হেক্টরের স্ত্রীর আহাজারিতে  যেন  কেঁপে  উঠছে  পুরো  অমরাপুরি। কিন্তু এ্যাকিলিস  যা করেছিল, তা ছিল একজন বীরযোদ্ধার পক্ষে  বড়ই  অসম্মান  আর অমর্যাদার;  পরে যা তার ওপর দেবতাদের ক্রোধ বয়ে আনে।

প্যাট্রোক্লাসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালীন এবং এর পরেও  এ্যাকিলিস  তার চিতার চারপাশে হেক্টরের দেহ টেনে নিয়ে যান। দেবতা আফ্রোদিতি এবং অ্যাপোলো তার দেহকে কুকুরের  আক্রমণ, বিকৃতকরণ এবং পচন থেকে রক্ষা করেছিলেন। প্রিয়াম হেক্টরের দেহের জন্য মুক্তিপণ নিয়ে এ্যাকিলিসের কাছে যাওয়া পর্যন্ত আরও ১২ দিন অতিবাহিত হলো। প্রিয়াম তাঁর বীর পুত্রের মরদেহের বীরোচিত শেষকৃত্তের জন্য হেক্টরের মরদেহ ফেরত চেয়ে এ্যাকিলিসের কাছে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সে দৃশ্য-যে কতোটা   লজ্জার, কতো অসম্মানের আর  কতোটা  গ্লানিকর ছিল, তা রাজা প্রিয়ামের জবানিতেই শুনুন,  “ আমি সহ্য করেছি যা,  পৃথিবীতে এর  আগে  কেউ  কখনো করেনি- আমি আমার  এই  ঠোঁট  দিয়ে সেই ব্যক্তির হাত চুম্বন  করেছি,  যে আমারই মহাবীর পুত্রের  ঘাতক।”

প্রিয়ামের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর এ্যাকিলিস আমাজনীয় যুদ্ধনায়িকা পেন্থেসিলিয়াকে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করেন। প্রথমে পেন্থেসিলিয়ার রূপে মুগ্ধ এ্যাকিলিস তার সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাননি। পরে তিনি বুঝতে পারেন পেন্থেসিলিয়ার রণকৌশল তাঁর অপেক্ষাও উন্নত এবং তার প্রতি আকর্ষণ এ্যাকিলিসের কাছে মারাত্মক হতে পারে। এই কারণে তিনি যুদ্ধ করেন ও পেন্থেসিলিয়াকে হত্যা করেন। কিন্তু এমন সুন্দরী নারীকে হত্যা করে তিনি শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন এবং বিলাপ করতে থাকেন। 

প্রথম যুদ্ধেই ট্রয় নগরীর বন্দর দখল করেন নেয় গ্রিকরা। এভাবে টানা ১০ বছর বন্দর ও রাজ্য অবরোধ করে রাখে গ্রিকরা। বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধে নিহত হয় একিলিসের ভাই উইরোরাস, প্যারিসের বড় ভাই ট্রয় বীর হেক্টর ও নাম না জানা উভয়পক্ষের হাজারো যোদ্ধা। যুদ্ধে সহজে জয়লাভ না করতে পেরে শেষপর্যন্ত প্রতারণার আশ্রয় নেয় স্পার্টানরা। তৈরি করে বিশালাকৃতির অদ্ভুত এক ঘোড়া। যা ইতিহাসে জঘন্যতম প্রতারণার  প্রতীক  হয়ে  আছে। ঘোড়াটি ‘ট্রোজান হর্স’ নামেই খ্যাত। আর এই ঘোড়াতেই লুকিয়ে ছিল ট্রয়ের লজ্জাজনক পরাজয়। সেই  প্রবঞ্চনা থেকেই ট্রয়যুদ্ধের শেষ ট্র্যাজিক পরিণতি।

ইউলিসিসের পরামর্শে এই বিরাট আকৃতির ঘোড়াটি তিন দিনে তৈরি করেছিলেন এপিয়াস নামের এক  সুদক্ষ ছুতার। ওডিসিয়ুস  (ইউলিসিস)-এর পরিকল্পনামতে ঘোড়াটি ফেলে রেখে গ্রিকরা পালিয়ে যাবার ভান করে জাহাজে করে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। বিশাল আকারের এই  ঘোড়ার ভেতরে  অস্ত্রশস্ত্রে  সুসজ্জিত অর্ধশত সাহসী যোদ্ধার এক  বহর সন্তর্পণে  লুকিয়ে থাকে। গ্রিকদের একজনকে পেছনে রেখে যাওয়া  হয়, যে কিনা ট্রয়বাসীদের বোঝাবে  যে, ঘোড়াটি তাদের অপরাজয়ের স্মারক হিসেবে উপহার দেওয়া হয়েছে এবং তা দেবী এথিনার উদ্দেশ্যে নিবেদিত অর্ঘ্য। ঘোড়ার গায়ে খোদাই করে লেখা হয় "For their return home, the Greeks dedicate this offering to Athena" এরপর গ্রিকরা তাদের তাঁবুগুলোকে পুড়িয়ে ফেলে এবং নিকটবর্তী টেনিডোস দ্বীপে রাতের আঁধারে লুকিয়ে যায়।

[চলবে]

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা
উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি
উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি
পেছনে পড়ে থাকে
পেছনে পড়ে থাকে
প্রাচ্য সাহিত্য সম্পদ থেকে বঞ্চিত কেন বাংলা সাহিত্য
প্রাচ্য সাহিত্য সম্পদ থেকে বঞ্চিত কেন বাংলা সাহিত্য
হেমন্ত আবেশে
হেমন্ত আবেশে
কৃষ্ণ কফি-৩
কৃষ্ণ কফি-৩
খালার তসবিহ
খালার তসবিহ
লাল নীল দীপাবলি
লাল নীল দীপাবলি
‘জলৌকা হে নীল যমুনা’র কবি
‘জলৌকা হে নীল যমুনা’র কবি
গোধূলি
গোধূলি
শিল্পশক্তি
শিল্পশক্তি
ডেড লেটার
ডেড লেটার
সর্বশেষ খবর
গ্রেফতারের সময় বিল দিয়ে পালালেন তাহেরি, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
গ্রেফতারের সময় বিল দিয়ে পালালেন তাহেরি, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর

১ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

টি-টোয়েন্টির উইকেট নিয়ে ‘অন্যরকম’ বার্তা দিলেন টাইগার অধিনায়ক
টি-টোয়েন্টির উইকেট নিয়ে ‘অন্যরকম’ বার্তা দিলেন টাইগার অধিনায়ক

১৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাবির হল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জাবির হল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ঠাণ্ডায় কাঁপছে দিল্লি, তাপমাত্রা নামল ৫ ডিগ্রিতে
ঠাণ্ডায় কাঁপছে দিল্লি, তাপমাত্রা নামল ৫ ডিগ্রিতে

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের দুই কারাগারে ডগস্কোয়াড মোতায়েন
দেশের দুই কারাগারে ডগস্কোয়াড মোতায়েন

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

হ্যামিল্টনে দাপট দেখাচ্ছে নিউজিল্যান্ড
হ্যামিল্টনে দাপট দেখাচ্ছে নিউজিল্যান্ড

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কু-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শ্যালিকাকে গলা কেটে হত্যা
কু-প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শ্যালিকাকে গলা কেটে হত্যা

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বছর পর সমাবেশ মঞ্চে আসছেন খালেদা জিয়া
৭ বছর পর সমাবেশ মঞ্চে আসছেন খালেদা জিয়া

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপাতত কমিশন গঠন সম্ভব হচ্ছে না’
‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আপাতত কমিশন গঠন সম্ভব হচ্ছে না’

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

মৌলভীবাজারে ইয়াবাসহ নারী আটক
মৌলভীবাজারে ইয়াবাসহ নারী আটক

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, মুখ খুললেন বিদ্রোহী নেতা জোলানি
সিরিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, মুখ খুললেন বিদ্রোহী নেতা জোলানি

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর ‘কবজি কাটা’ আনোয়ার গ্রুপের ৫ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
রাজধানীর ‘কবজি কাটা’ আনোয়ার গ্রুপের ৫ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তারের পর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ‘পুষ্পা টু’র আয়
আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তারের পর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ‘পুষ্পা টু’র আয়

১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনে প্রথম রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে অংশ নিলেন উত্তর কোরিয়ার সেনারা
ইউক্রেনে প্রথম রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে অংশ নিলেন উত্তর কোরিয়ার সেনারা

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ চাষে সুনীলের বাজিমাত
সুগন্ধি বোম্বাই মরিচ চাষে সুনীলের বাজিমাত

১ ঘন্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বিজয় দিবসে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা ডিএমপির
বিজয় দিবসে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিশেষ নির্দেশনা ডিএমপির

১ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

জনপ্রশাসন সংস্কারে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে বিএনপি
জনপ্রশাসন সংস্কারে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে বিএনপি

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের অবস্থান
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের অবস্থান

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন
বরিশালে ন্যাশনাল ব্যাংকের আঞ্চলিক ব্যবসায়িক সম্মেলন

১ ঘন্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

গ্রিস উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি: মৃত ৫, নিখোঁজ ৪০
গ্রিস উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি: মৃত ৫, নিখোঁজ ৪০

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাশতার সঙ্গে লটারি কিনে জিতলেন ১২ কোটি টাকা
নাশতার সঙ্গে লটারি কিনে জিতলেন ১২ কোটি টাকা

১ ঘন্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ব্লুটুথ মাউস আনল লজিটেক
ব্লুটুথ মাউস আনল লজিটেক

১ ঘন্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন: জনপ্রশাসন সচিব
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন: জনপ্রশাসন সচিব

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

মাঠের লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় লিটন
মাঠের লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় লিটন

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাতে মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানইউ ও ম্যানসিটি
রাতে মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানইউ ও ম্যানসিটি

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শীতের মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে তাপমাত্রা
শীতের মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

অডিও অনুবাদ করে দেবে ইউটিউবের নতুন টুল
অডিও অনুবাদ করে দেবে ইউটিউবের নতুন টুল

২ ঘন্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হিজাব না পরে কনসার্টে গান, গ্রেফতার ইরানের গায়িকা
হিজাব না পরে কনসার্টে গান, গ্রেফতার ইরানের গায়িকা

২ ঘন্টা আগে | শোবিজ

মানহানি মামলা: ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এবিসি নিউজ
মানহানি মামলা: ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এবিসি নিউজ

২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীর যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না সোমবার
রাজধানীর যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না সোমবার

২ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

১৭ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে, সতর্কবার্তা
সৌদি আরবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে, সতর্কবার্তা

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশকে মারপিটে উসকানির অভিযোগে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩
পুলিশকে মারপিটে উসকানির অভিযোগে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩

১৫ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন: জনপ্রশাসন সচিব
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন: জনপ্রশাসন সচিব

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে সিরিয়ার সর্বোচ্চ পর্বত তড়িঘড়ি দখল করে নিল ইসরায়েল
যে কারণে সিরিয়ার সর্বোচ্চ পর্বত তড়িঘড়ি দখল করে নিল ইসরায়েল

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসাদ পরিবারের গন্তব্য কোথায়?
আসাদ পরিবারের গন্তব্য কোথায়?

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৬ ঘন্টা আগে | জাতীয়

খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো 'ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে'
খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো 'ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে'

১৩ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

১৭ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় পৌঁছেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা
ঢাকায় পৌঁছেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা

১৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আদানির বিপুল দায় মেটাতে হিমশিম, এডিপি কাটছাঁট
আদানির বিপুল দায় মেটাতে হিমশিম, এডিপি কাটছাঁট

৪ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

‘ভারত সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে’
‘ভারত সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে’

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানে তেল-গ্যাসের নতুন বিশাল খনির সন্ধান
পাকিস্তানে তেল-গ্যাসের নতুন বিশাল খনির সন্ধান

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়া পুনর্গঠনে ‘স্পষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনার’র কথা জানালেন বিদ্রোহী নেতা জোলানি
সিরিয়া পুনর্গঠনে ‘স্পষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনার’র কথা জানালেন বিদ্রোহী নেতা জোলানি

১৬ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজস্বে চার মাসে ঘাটতি ৩১ হাজার কোটি টাকা
রাজস্বে চার মাসে ঘাটতি ৩১ হাজার কোটি টাকা

৮ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

‘নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে যাবো’
‘নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সরে যাবো’

২৩ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে ওপেন এআইয়ের তথ্য ফাঁসকারী ভারতীয় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে ওপেন এআইয়ের তথ্য ফাঁসকারী ভারতীয় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগ এখনো সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে’
‘আওয়ামী লীগ এখনো সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে’

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ফের মা হলেন কোয়েল মল্লিক
ফের মা হলেন কোয়েল মল্লিক

২১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ শিশু নোভা
বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ শিশু নোভা

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছে’
‘আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চালিয়েছে’

২১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ভারত থেকে এলো ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু
ভারত থেকে এলো ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু

২৩ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনতাই
পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনতাই

২১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

৭ বছর পর সমাবেশ মঞ্চে আসছেন খালেদা জিয়া
৭ বছর পর সমাবেশ মঞ্চে আসছেন খালেদা জিয়া

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

‘যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সেটি হবে সবার জন্য বাসযোগ্য’
‘যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব, সেটি হবে সবার জন্য বাসযোগ্য’

১৮ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে প্রচার করত আওয়ামী লীগ: যুক্তরাষ্ট্র
বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে প্রচার করত আওয়ামী লীগ: যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে : গভর্নর
মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে : গভর্নর

১৬ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি
বিজয় দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি

২০ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ব্যাটেও ধার নেই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছে সাকিবের বোলিং?
ব্যাটেও ধার নেই: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হচ্ছে সাকিবের বোলিং?

২৩ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই : আইজিপি
দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই : আইজিপি

১৭ ঘন্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
বেইমানি করলে ড. ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না
বেইমানি করলে ড. ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রশাসনে প্রথমে যুগ্মসচিব পরে উপসচিব পদোন্নতি
প্রশাসনে প্রথমে যুগ্মসচিব পরে উপসচিব পদোন্নতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আবার রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা
আবার রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

জোড়াতালির বিআরটি
জোড়াতালির বিআরটি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়
ভারত বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য
চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য

পেছনের পৃষ্ঠা

দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই
দায়িত্ব পালন শেষে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিতে চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

পান্থকুঞ্জ পার্কে নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি
পান্থকুঞ্জ পার্কে নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি

নগর জীবন

ধর্ষণের গল্প ফেদেছিলেন যে নারী
ধর্ষণের গল্প ফেদেছিলেন যে নারী

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা অসম্ভব
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরা অসম্ভব

প্রথম পৃষ্ঠা

আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা
আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাশার, হাসিনা ও আওয়ামী লীগের তওবা
বাশার, হাসিনা ও আওয়ামী লীগের তওবা

সম্পাদকীয়

সমন্বয়হীন সবজি বাজার
সমন্বয়হীন সবজি বাজার

নগর জীবন

অপরাধীদের ক্ষমায় রেকর্ড করলেন বাইডেন
অপরাধীদের ক্ষমায় রেকর্ড করলেন বাইডেন

প্রথম পৃষ্ঠা

হিমালিয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার
হিমালিয়ান গৃধিনী শকুন উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতকে অসহযোগী দেশের তালিকাভুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের
ভারতকে অসহযোগী দেশের তালিকাভুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের

প্রথম পৃষ্ঠা

বাধা কাটিয়ে উড়তে শিখছে ওরা
বাধা কাটিয়ে উড়তে শিখছে ওরা

বিশেষ আয়োজন

বিপিসি দেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান
বিপিসি দেশের সবচেয়ে অস্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান

প্রথম পৃষ্ঠা

আশা করি খুব দ্রুত নির্বাচন হবে
আশা করি খুব দ্রুত নির্বাচন হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

২০৫০ সালের মধ্যে নিউইয়র্কের আশপাশ তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা!
২০৫০ সালের মধ্যে নিউইয়র্কের আশপাশ তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা!

পেছনের পৃষ্ঠা

যাত্রা চারজন নিয়ে, এখন শিক্ষার্থী ৪০০-এর বেশি
যাত্রা চারজন নিয়ে, এখন শিক্ষার্থী ৪০০-এর বেশি

বিশেষ আয়োজন

রাজস্বে চার মাসে ঘাটতি ৩১ হাজার কোটি টাকা
রাজস্বে চার মাসে ঘাটতি ৩১ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে
বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

কিংস অ্যারিনায় জয়ে ফিরল বসুন্ধরা
কিংস অ্যারিনায় জয়ে ফিরল বসুন্ধরা

মাঠে ময়দানে

দ. এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বঙ্গোপসাগরের অবস্থান ও বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত
দ. এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বঙ্গোপসাগরের অবস্থান ও বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত

সম্পাদকীয়

গুমের নির্দেশদাতা হাসিনা
গুমের নির্দেশদাতা হাসিনা

প্রথম পৃষ্ঠা

আদানির বিপুল দায় মেটাতে হিমশিম, এডিপি কাটছাঁট
আদানির বিপুল দায় মেটাতে হিমশিম, এডিপি কাটছাঁট

প্রথম পৃষ্ঠা

শব্দদূষণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি
শব্দদূষণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি

নগর জীবন

সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় এক ইঞ্চিও আটকাবে না সরকার
সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় এক ইঞ্চিও আটকাবে না সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা