শিরোনাম
- নির্বাচনের প্রস্তুতির ধীর গতির প্রশ্নে সরব জিল্লুর রহমান
- রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ সেই হাসপাতাল কর্মচারীর মৃত্যু
- গতানুগতিক নয়, পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন দিতে হবে : নায়েবে আমির
- চাঁদপুরে অসুস্থ লঞ্চ যাত্রীকে চিকিৎসা সহায়তা কোস্ট গার্ডের
- মোহনগঞ্জে বালুবাহী নৌকা ডুবে দুই শ্রমিক নিখোঁজ
- রাস্তায় নেমে এসেছিলেন বাবা-মাও
- আইজিপির ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও, সতর্ক করল পুলিশ সদর দপ্তর
- পাঁচ দিনে গোপন করা হয় ৩২২ মৃত্যুর তথ্য
- চব্বিশের অভ্যুত্থানে প্রাপ্তিটা কী
- ইনজুরিতে মেসি, মাঠে ফিরতে পারবেন কবে?
- ঢাকার বাতাসে আজ কতটা দূষণ?
- সাতসকালে ইসরায়েলে হামলা, বেজে উঠল সাইরেন
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৫ আগস্ট)
- আজ রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ঘিরে চট্টগ্রামে নানা আয়োজন
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৫
- গোপন করার কিছু নেই, এনসিপি কিংস পার্টি : ইফতেখারুজ্জামান
- যৌন হয়রানির অভিযোগে বেরোবির অধ্যাপক বরখাস্ত
- স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : চরমোনাই পীর
- বগুড়ায় পাঁচ শতাধিক কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
অর্থনীতির সুবাতাস নষ্ট করতেই এই অস্থিরতা
প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম
রিয়াজ হায়দার, চট্টগ্রাম
অনলাইন ভার্সন

‘পেট্রলবোমা মেরে গণতন্ত্র কায়েম করা যাবে না। সাধারণ মানুষের প্রতি এই পৈশাচিক নির্যাতনের পথ থেকে বিএনপিকে সরে আসতে হবে। আন্দোলনের কৌশল বদলাতে হবে’- বলেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম। তিনি এও বলেছেন, ‘তবে বিএনপিকে মাঠেই নামতে দেওয়া হবে না- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে এমন অবস্থান থেকেও সরে আসতে হবে।’ ড. মইনুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেছেন, এখনই নির্বাচন দিতে হবে-এমন কোনো কথা নেই। এ মুহূর্তে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে-এমন কথা বললেও তা কোনো কাজে আসবে না। কারণ বর্তমান সরকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত একটি নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দায়িত্ব পেয়েছে। এখন সংলাপ হতে পারে সব পক্ষের অংশগ্রহণে কীভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণভাবে করা যায়, তা নিয়ে। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মইনুল ইসলাম এদেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের সংগ্রামে এক আলোকোজ্জ্বল নাম। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এ অধ্যাপক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর মহাপরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন। কৃতী এই শিক্ষাবিদের জš§ ১৯৫০ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রামের রাউজান নোয়াপাড়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে øাতকোত্তর শেষে চট্টগ্রাম বিশ্বদ্যিালয়ে প্রভাষক হিসেবে ১৯৭৩ সালে যোগ দেন মইনুল ইসলাম। আমেরিকার ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন তিনি। অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন নিয়েই বেশি লেখালেখি ও গবেষণা করেন ড. মইনুল ইসলাম। ‘এ প্রোফাইল অন ব্যাংক লোন ডিফল্ট ইন দি প্রাইভেট সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ নামে অত্যন্ত তাৎপর্যময় গবেষণা গ্রন্থ রয়েছে তার। এ ছাড়াও ১৩টি গ্রন্থ ও দেশে-বিদেশে তার ৩৩ গবেষণা নিবন্ধ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বাংলাদেশ থেকে পুঁজি পাচার বিষয়ে অনুসন্ধানী গবেষণা রয়েছে তার। কাজ করেছেন খেলাপি ঋণের ওপর। চলমান অবরোধ ও ঘন ঘন হরতালে জনজীবনের অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই অর্থনীতিবিদ। অবরোধে দেশের দুটি বন্দরেই কনটেইনারের জট বৃদ্ধি, বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তাদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে তীব্র শঙ্কা আর আসন্ন রমজানকে ঘিরেও সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ড. মইনুল ইসলাম বলেন, অর্থনীতির সুবাতাস যখন বইছিল, তখন তা নষ্ট করার জন্য এই অবরোধ-হরতাল করে অস্থিরতা তৈরি বিএনপির পুরনো কৌশল।
আমি বলব-উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার বিশেষ পর্যায়ে এসে বিএনপি ইচ্ছাকৃতভাবে তা করছে। ড. মইনুল ইসলাম আরও বলেন, সাংবিধানিক বৈধ সরকারকে অবরোধ করে উৎখাত করা যাবে না। উৎখাত করতে হলে সামরিক শাসন জারি করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। আশা করি বেগম জিয়া সামরিক শাসন চান না।
এই বিভাগের আরও খবর