অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে শিকারি পাখি জার্ডনের বাজ। নির্বিচারে বনাঞ্চলের বড় বড় গাছ কমে যাওয়ায় এদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ এরা বড় গাছের মগডালে বসে থাকা পাখি।
জার্ডনের বাজের ইংরেজি নাম Jerdon’s Baza আর বৈজ্ঞানিক নাম Aviceda jerdoni। এরা মিশ্র চিরহরিৎ সবুজ বনের পাখি। শুধু সিলেট আর চট্টগ্রামের বন ছাড়া দেশের আর কোথাও এদের দেখা যায় না। গত সেপ্টেম্বর মাসে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনে জার্ডনের বাজের দেখা পেয়ে ক্যামেরাবন্দি করেন শৌখিন ফটোগ্রাফার তারিক হাসান। এটাই তার প্রথম দেখা জার্ডনের বাজ বলে জানান।
পাখি বিশারদরা জানান, জার্ডনের বাজ আমাদের দেশেরই পাখি। এরা সারা বছর আমাদের দেশেই থাকে। বাসা বাঁধে, ছানা ফোটায়। এদের দৈর্ঘ্য ৪৮ সেমি। দেহের রং বাদামি। মাথার পেছনে খাড়া ঝুঁটির আগা সাদাটে। এরা উঁচু স্বরে বিড়ালের মতো ‘পি-আউ’ কিংবা ‘কিকিয়্যা...কিকিয়্যা’ করে ডাকে। এরা বনের পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, ছোট ছোট সরীসৃপ খায়। এই পাখি বনের উঁচু গাছে বসে থাকে বলে খুব ভালোভাবে চেনা যায় না। তবে দূর থেকে এদের মাথার ঝুঁটি দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি জার্ডনের বাজ। ঝুঁটিময় সৌন্দর্য জার্ডনের বাজকে সব পাখি থেকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়। তাদের ঝুঁটি সৌন্দর্য খুব সুন্দর। একবার দেখলে মনে রাখার মতো।
ফটোগ্রাফার তারিক হাসান বলেন, ‘এই পাখি পুরোপুরিভাবে বনের খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল। ফলে বনের বড় বড় গাছ কমে যাওয়ায় এ পাখিগুলোও প্রকৃতি থেকে কমে যাচ্ছে। তবে এখনো যে কয়টি টিকে আছে সেগুলো আমাদের জন্য অমূল্য। তাই জার্ডনের বাজ পাখিকে বাঁচাতে হলে বনের বড় বড় গাছপালা টিকিয়ে রাখতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই