শিমের মাচায় সবুজের সঙ্গে দুলছে রঙিন ফুল। বেগুনি রঙের মনোমুগ্ধকর ফুলে প্রকৃতি সেজেছে দারুণ মুগ্ধতায়। মৌসুম শুরুর আগেই এমন মনোরম দৃশ্যে ভরে আছে নীলফামারীর সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার শিম বাগান।
শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় দিন দিন এই আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। আগাম বাজারে নামাতে পারলে ভালো দাম পাওয়া যাবে এমন প্রত্যাশা কৃষকদের। এছাড়া বাজারে দাম ভালো থাকায় এবার অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন তারা।
উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে কৃষকের ব্যস্ততা। অনেকে আগাম আবাদ করেছেন শিম, লাউ, মুলা, বেগুনসহ নানা জাতের সবজি। আবার অনেকে ব্যস্ত বিভিন্ন জাতের শাক চাষে।
ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে সবজির চাষ বেশি হওয়ায় গ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে সবজি গ্রাম। ওই গ্রামের কৃষক তয়েজ উদ্দিন ও তাজুল ইসলাম বলেন, ৪০ শতাংশ করে জমিতে শিম চাষ করেছেন। তাদের শিম গাছে শিম আসতে শুরু করেছে। আগামী ১০দিনের মধ্যে তাদের শিম বাজারে আসবে বলে জানান তারা।
ঐ গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দেড় বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন ও মরিচ। ইতোমধ্যে ৪৫ শতাংশ জমির কচুমুখী চাষ করে বিক্রি করেছেন ৮০ হাজার টাকায়। এ বছর বৃষ্টির কারণে সবজি চাষ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। তারপরও কপি, মরিচসহ কয়েক প্রকারের বেগুন চাষ করেছেন।
কৃষক জহির উদ্দিন বলেন, 'ক্ষেত থেকে বাজারে নেওয়ার জন্য লাউ সংগ্রহ করছি। গ্রামে এসে সবজি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যায়। আমার ৬০ শতাংশ জমিতে আগাম আমন ধান চাষ করা আছে। ওই জমির ধান কেটে সেখানে বেগুন ও ভুট্টা চাষ করব। শীতকালীন সবজিতে লাভ বেশী পাওয়া যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ৩৭০ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে।যদিও বৃষ্টির কারণে এ বছর ১০ থেকে ১৫ দিন পিছিয়ে গেছে আগাম সবজি চাষ।
বিডি প্রতিদিন/মুসা