বগুড়ায় হাত বদল হলেই প্রতিটি সবজির দাম বাড়ছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা। ফলে কৃষকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। গতকাল বগুড়ার পাইকারি সবজির বাজার মহাস্থানসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কৃষক, ফড়িয়া, ব্যাপারী আর খুচরা বিক্রেতা এক অন্যকে দুষছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মহাস্থানহাটে পাইকারি বাজারে কৃষক পটল বিক্রি করছেন ৪৫ টাকা কেজি দরে। অথচ সেই পটল ওই হাটে খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা। আবার সেই পটল রাজাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এভাবে হাত বদল হলেই প্রতিটি সবজির দাম বাড়ছে কেজি প্রতি ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা। বগুড়ার বাজারগুলোতে আগাম শীতের সবজি আমদানি হলেও কমছে না দাম। কয়েকদিন আগে লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যার কারণে খেত নষ্ট হওয়ায় প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
শহরের রাজাবাজারে সবজি ব্যবসায়ী ছাবেদ আলী জানান, মহাস্থান হাটে গিয়ে সব সবজি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা যায় না। ফড়িয়ারা ব্যবসায়ীরা রাস্তা থেকেই কৃষকের সবজি কিনে নেয়। সেখান থেকে সবজি কিনতে খাজনা দিতে হয়। এরপর শহরে আনতে পরিবহন খরচ, রাজাবাজারে দোকান ভাড়া এবং খাজনা দিতে হয়। যার কারণে মহাস্থান হাটে কেনা দামের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিপ্রতি বেশি বিক্রি না করলে লোকসান গুনতে হবে।
বগুড়ার রাজাবাজারে সবজি কিনতে আসা মন্টু মিয়া জানান, বাজারে সবজি, চাল ও আলুর দাম বেড়েছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়বেন।