প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৯দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’ জাবি শাখার ব্যানারে ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড’ জাবি শাখার সদস্য সচিব রতন বিশ্বাস বলেন, “বঙ্গবন্ধু আমাদের ৩০ শতাংশ কোটা পুরস্কার হিসেবে দিয়েছেন। সেই কোটা বাতিল করে আমাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। অবিলম্বে আমাদের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে।”
অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেন (শিক্ষা) এবং প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইনসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। তারা আন্দোলনকারীদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর বিকেল ৪টায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আমির হোসেনের আশ্বাস এবং আন্দোলনে সংহতি জানালে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে, প্রায় ৪ ঘণ্টাব্যপী অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ভোগান্তিতে পড়ে হাজারো মানুষ। দূরপাল্লার শতাধিক বাস আটকে যায় মহাসড়কে। সাভার থেকে নবীনগর এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১০ কি.মি. রাস্তার দুই পাশে প্রচণ্ড যানজট লক্ষ্য করা যায়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীরা তীব্র ভোগান্তির শিকার হন। এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও রাস্তা দিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে অ্যাম্বুুলেন্সগুলোকে গন্তব্যস্থলে যেতে দেখা যায়।
এদিকে, জাবিতে চলছে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। আগামীকাল “সি” ইউনিটের পরীক্ষা দিতে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন। অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। রাস্তায় যানজটের কারনে আগামীকালের পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুরা যথাসময়ে অংশ নিতে পারবে কি না তা নিয়ে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা শঙ্কায় রয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব