আজ পহেলা ফাল্গুন। শীতকে বিদায় জানাতে তাইতো ফাল্গুনের হাত ধরে আগমন ঘটেছে ঋতুরাজ বসন্তের। বসন্ত এসেছে কোকিলের গান নিয়ে। সাথে নিয়ে এসেছে শিমুল আর পলাশ ফুলের মেলা। সারাদেশে চলছে বসন্তবরণের নানা আয়োজন। সে আয়োজনের জোয়ারে পিছিয়ে নেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও (রাবি)।
ঋতুরাজ বসন্তকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নিয়েছে রাবির শিক্ষার্থীরা। ফাল্গুনের প্রথম প্রহরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসবের। পরে চারুকলার মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরাও আয়োজন করে ছবি প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
এদিন সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বাসন্তী রঙের শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুরতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। তরুণীদের মাথায় নানা ফুলের মুকুট যেনো নতুন মাত্রা যোগ করেছে ফাল্গুনের এই উৎসবে।
সেই সঙ্গে গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, পলাশ, শিমুলসহ বাহারি নামের বর্ণালি ফুলে ক্যাম্পাসের গাছগুলোও যেন বসন্তের আগমনী বার্তার জানান দিচ্ছে খুব ভালোভাবেই। শীতের রিক্ততা মুছে প্রাণের স্পন্দনে একটু একটু করে জেগে উঠেছে প্রকৃতি, ঠিক তেমনি করে বসন্তের ফুলে সেজে উঠেছে মতিহারের সবুজ চত্বর।
বসন্তকে বরণ করে নিতে শুধু ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাই নয়। বাইরের তরুণ-তরুণীরাও ক্যাম্পাসের নানা অনুষ্ঠানে এসে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। নবীন শিক্ষার্থীরা যেনো একটু বেশিই আনন্দে মেতেছেন। কারন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটাই তাদের প্রথম বসন্তবরণ।
আবার বসন্ত আসলেও অনেকের মনেই বাজছে বিদায়ের সুর। কারণ মাস্টার্সের পড়াশুনা শেষেই চলে যেতে হবে ক্যাম্পাস ছেড়ে। ক্যাম্পাস জীবনে এটাই তাদের শেষ বসন্ত। কথা হয় এমনই একজন শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার পুষ্প’র সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথমবার যখন ক্যাম্পাসে বসন্তবরণের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম তার চেয়ে এই বসন্তের অনুভুতি অন্যরকম। ক্যাম্পাস জীবনের শেষ বসন্তবরণ বলে খারাপ লাগছে। তবে শেষ সময়ে এসে রঙিন এই দিনগুলোকে স্মৃতির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতে চাই।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা