২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৪৬

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক মাস স্থগিত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
এক মাস স্থগিত

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

১৪ শিক্ষার্থীর চুল কর্তনের ঘটনায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) সাথে সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে দেড় ঘন্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসিমন বাতেনের বিরুদ্ধে আগামী ২৮ নভেম্বর মধ্যে বহিস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আশ্বাস দেয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেছে।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র আবু জাফর জানান, চুল কর্তনের ঘটনায় সিন্ডিকেট সভায় কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক মুলতবি করায় গত চারদিন ধরে তারা পুনরায় আন্দোলনে নেমেছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ শামসুজ্জোহার মধ্যস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. আব্দুল লতিফের সাথে শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়। বৈঠকে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ভিসি মহোদয় তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে স্বীকার করেন এবং স্থায়ী বহিস্কারের বিষয়ে কোন আইন না থাকায় বহিস্কার করতে পারছেন না বলে জানান।

এরপর আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে নতুন আইন প্রণয়ন করে শিক্ষিকা ফারহানাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিবেন বলে ঘোষণা দেন। ভিসির আশ্বাসে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। তবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠিত তদন্ত কমিটি শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের চুল কর্তনের ঘটনায় তদন্ত করতে আসছে। তদন্ত কমিটিতে সাক্ষ্য শেষে আন্দোলন শিক্ষার্থীরা বৈঠক করে কবে থেকে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি মো. আব্দুল লতিফ জানান, শিক্ষার্থীদের সাথে সফল সমঝোতা বৈঠক হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের দাবির বিষয়টির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হবে। দুএকদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরবেন। শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে সত্যতা প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু একজন শিক্ষিকাকে স্থায়ী বহিস্কারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আলোচনা-পর্যালোচনা ও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে আইন প্রণয়ন করে ফারহানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন নিজেই কাঁচি হাতে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বলে অভিযোগে ওঠে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর