২০ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:১৫

কুবির রেজিস্ট্রার দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুবির রেজিস্ট্রার দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ

ফাইল ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের নিন্দা ও রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলানোর প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সিংহভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী সুচারুভাবে কাজ করে আসছিল। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ অশালীন মন্তব্য ও শিক্ষকদের বিষয়ে আপত্তিকর, অবমাননামূলক ও শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করে। এ ধরনের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

এর আগে বুধবার কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার প্রদান ও বর্তমান রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহেরের অপসারণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ। পরে রাত ৮টার দিকে রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা।

বৃহস্পতিবার তারা তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখে। ওইদিন সাড়ে ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা দিয়ে অবস্থান করেছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির অর্ধ-শতাধিক কর্মচারী। এসময় তারা বর্তমান রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি করেন। তবে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

৩য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি দ্বিপক চন্দ্র মজুমদার দাবি করেন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আমরা তালা দিয়েছি। দাবি দাওয়া পূরণ হলে আমরা তালা খুলে দেব। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন তালা দেয়নি। কিছু বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে তালা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারির সাথে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন তাদের সংগঠন থেকে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যারা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারাই তালা দিয়েছে। রবিবারের মধ্যে তারা তালা না খুলে দিলে, প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কিছু অবৈধ দাবি-দাওয়া নিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বস্তুত এসকল নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে আমার একক কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সিন্ডিকেট সভা সকল সিদ্ধান্ত এবং নীতিমালা সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করে থাকে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর