ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধীনে ‘ভিক্টোমোলজি ও রিস্টোরেটিভ জাস্টিস’ প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে এ পুনর্মিলনীতে কোর্সের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
পুনর্মিলনীর শুরুতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের অ্যাপিল্যাড ডিভিশনের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম। সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. তানিয়া রহমান, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার, অধ্যাপক ড. ফজলে খোদা, অধ্যাপক ড. তাওহীদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রোগ্রাম সমন্বয়ক ও ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ভিক্টোমোলজি ও রিস্টোরেটিভ জাস্টিস বিবাদমান দু’পক্ষকে নিয়ে কাজ করে। যিনি অপরাধ করেছেন, আর যিনি অপরাধের শিকার হয়েছেন, উভয়ই কোনো না কোনোভাবে ভুক্তভোগী। সেই সাথে তাদের পরিবার ও সমাজও ভুক্তভোগী। তাই কীভাবে দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যায়, সেটি নিয়ে ‘রিস্টোরেটিভ জাস্টিস’ কাজ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের পঞ্চম বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে এ বিষয়টি পড়ানো হয়।
অধ্যাপক ড. মো. গোলাম আজম বলেন, মানুষের ‘ম্যানার’ যদি ভালো না থাকে, তার মূল্যবোধ যদি জাগ্রত না হয়, তাহলেই অপরাধ বাড়বে। সেজন্য ‘রিস্টোরেটিভ জাস্টিসে’র কাছে যাওয়ার চেয়ে আগেই সংযত হবে। ‘ভিক্টিমলেস ক্রাইম নিয়েও কথা হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, এত আত্মহত্যা হচ্ছে, এসবের দায় কার? ভারতে মদ খেয়ে একসাথে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে, এগুলোর দায় কে নেবে?
বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম বলেন, রিস্টোরেটিভ জাস্টিস সিস্টেম এটা কীভাবে চালু করা যায় এবং এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যায়, এটা নিয়ে কিন্তু বাংলাদেশে কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে সিভিলসহ বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা যদি আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন না করতে পারি, তাহলে এটা চালু করা যাবে না। এর জন্য সামাজিক পরিসরে অনেক কাজ করা উচিত। গ্রামে-গঞ্জে এনজিও কাজ করছে, তাদের মাঝেও রেস্টোরিটিভ জাস্টিসের ধারণা দেওয়া যেতে পারে।
সেমিনারের পরে কোর্সের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর