বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। চীনের উহান থেকে সৃষ্ট এ ভাইরাসের কাছে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোও আজ অসহায়। বাংলাদেশেও দিন দিন বাড়ছে আতঙ্ক। বেড়েই চলছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় সিলেটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেয়া হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। এই দুঃসময়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলা ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় এগিয়ে এসেছে প্রশাসন, সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিএমএ, সিটি করপোরেশন।
শনিবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় অংশ নেয়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নতুন ৯টি আইসিইউ বেড স্থাপনের কাজ দ্রুত সম্পন্নের উপর সভায় জোর দেয়া হয়েছে। ওই দুটি বেড স্থাপনের কাজ শেষ হলে হাসপাতালটিতে ১১ জন রোগীকে ভেনটিলেশনে রাখা যাবে। এছাড়া প্রয়োজন হলে সিলেটের নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মাউন্ড এডোরা তাদের হাসপাতাল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে। অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক তাদের আইসিইউ বেড দিয়ে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে একটি ডিপটিউবওয়েল ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসিন বসিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রবিবার থেকে টিউবওয়েল বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সও দান করা হচ্ছে করোনা চিকিৎসায়। একইভাবে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। তারা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় দুটি অ্যাম্বুলেন্স দিচ্ছেন।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ জানান, সিলেটে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক প্রস্তুত রয়েছে। যার যে সামর্থ্য আছে সেটা দিয়েই সাহায্য করা হবে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, সিলেটে করোনাভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে তা আশাতীত। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সিলেটে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত