সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের মতো সিলেটেও রবিবার থেকে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে সিলেটে সিটি কর্পোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ডের ১৮টি স্থানে ও ১৩টি উপজেলার ৪৪টি স্থানে একযোগে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। বিশেষ এই ‘ফ্যামিলি কার্ড’র মাধ্যমে রবিবার থেকে পুরো বিভাগের ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫২১টি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য কেনার সুবিধা পাচ্ছে। তবে প্রথম দিনই টিসিবির পণ্য নিতে এসে বিক্রয়কর্মীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন সুবিধাভোগীরা। বিশেষ করে নারীদের অভিযোগ ছিল বেশি।
রবিবার সকাল ১০টা থেকে নির্ধারিত স্থানে শুরু হয় টিসিবির পণ্য বিক্রি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ডধারী নারী-পুরুষ কিনে নেন টিসিবি’র পণ্য। প্রত্যেক ক্রেতা টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি লিটার ১১০ টাকা দামে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা কেজি দামে ২ কেজি করে চিনি, প্রতি কেজি ৬৫ টাকা করে দুই কেজি মসুর ডাল কেনার সুযোগ পান। বাজার দামের চেয়ে অনেক কমে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরে খুশি ছিলেন ক্রেতারা। তবে নারী ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল, বিক্রয়কর্মী ও স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী লাইন ভেঙ্গে তাদের পছন্দের লোকজনকে আগে পণ্য দিয়েছেন। আর নারীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকজন নারী ক্রেতা ক্ষোভ ঝাড়েন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে নির্ধারিত স্থানে কার্ডধারী ক্রেতাদের পণ্য দেয়া হবে। প্রতিদিন পাঁচশ’ জন টিসিবির পণ্য পাবেন। পণ্য নিতে আসা লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হন, এ ব্যাপারে খেয়াল রাখার প্রতিশ্রুতি দেন জনপ্রতিনিধিরা।
রবিবার সকালে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম দেখতে যান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনছুরুল আলম ও জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। জেলা প্রশাসক জানান, সিলেট জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকা মিলিয়ে টিসিবির পণ্যের জন্য ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৬৩ পরিবার। বিক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত পণ্যও রয়েছে টিসিবির গুদামে। আর অতিরিক্ত সচিব মো. মনছুরুল আলম জানান, কার্ডধারী ছাড়া টিসিবির পণ্য কাউকে দেয়া হবে না। রমজানের মাঝামাঝি সময়ে বিতরণকৃত তিনটি পণ্যের সাথে ছোলা ও খেজুর যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ আরও বেশি উপকৃত হবেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন