সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং শব্দদূষণ কমাতে অ্যাকশনে নেমেছে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। অবৈধ পার্কিং ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারকারী যানবাহনের মালিকদের বিরুদ্ধে চলছে এই অভিযান। শব্দ দূষণকারী হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারকারীদের প্রথমে ১৫ হাজার টাকা এবং অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানায়, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৪০ ধারা অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি শব্দ নিয়ন্ত্রণের মাত্রা বা সমজাতীয় অন্য কিছু পরিবর্তন করেন, তবে ৮৪ ধারা অনুযায়ী তিনি অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা ন্যূনতম ১ বছর বা ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার বন্ধের জন্য প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয়বার একই অপরাধের ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা নির্ধারণ করেছে।
এসএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সাধারণভাবে শব্দের মানমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডেসিবল। তার চেয়ে বেশি মাত্রার শব্দ মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। আর হাইড্রোলিক হর্ন ১০০ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দ সৃষ্টি করে। শব্দদূষণ সৃষ্টিতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যাপকভাবে দায়ী। তাই এরকম আইন লঙ্ঘনকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে এটা যে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এই বিষয়টি সবাইকে বোঝাতে হবে। বিশেষ করে যানবাহনের মালিক ও চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। ইতিমধ্যে এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারমধ্যে প্রতি দুই মাস পর পর ‘ট্রাফিক পক্ষ পালন’, চালক ও পথচারীদের নিয়ে পথসভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণসহ জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এসএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানায়, গত মার্চ মাসে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযানে ২৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়েছে এবং মোট ১৭টি যানবাহন ডাম্পিং করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই