২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৩২

বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ

বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর উৎসবের আমেজ বিরাজ করলেও এখন খোদ নির্বাচন নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তফসিলের পরপরই প্রচারণায় সরগরম হয়ে ওঠে পৌরশহর। সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন বিশ্বনাথ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরপরই প্রচারণায় নেমে পড়েন সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।

ইতিমধ্যে শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা ডেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ মেয়র প্রার্থীর সিভি জমা নিয়েছেন জেলা নেতৃবৃন্দ। মাঠে প্রচারণায় রয়েছেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। কিন্তু এর মধ্যেই ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর বিশ্বনাথ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে কি না-এনিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। নির্বাচন স্থগিত চেয়ে কমিশনের সচিব বরাবরে শেখ মো. আজাদ মিয়া নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার আবেদনের কারণেই মূলত এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে বিশ্বনাথ পৌরসভার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রশাসনিকভাবে সীমানা নির্ধারণ করে ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয় পৌর এলাকাকে। পুনর্বিন্যাস করা হয় ভোটার তালিকাও। চলতি মাসের ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বিশ্বনাথ পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুয়ায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন আগামী ৬ অক্টোবর, যাচাইবাচাই ১০ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ অক্টোবর এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৮ অক্টোবর নির্ধারিত করা হয়।

তফসিল ঘোষণার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলার উত্তর ধর্মদা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মো. আজাদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদন করেন।

কথা হলে শেখ মো. আজাদ  এ প্রতিবেদককে জানান, ‘পৌরসভার প্রবেশদ্বারের গ্রামগুলো বাদ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমিসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, খাইয়াখাইড় আতাপুর গ্রামের শাহ নেওয়াজ চৌধুরী সেলিম ও রজকপুর গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদ এলাকাবাসীর পক্ষে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন (নম্বর : ৪৯৪৬/২০২১) দায়ের করি। উচ্চ আদালতের বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লা রিট পিটিশন শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের ৩৫ নাম্বার কোর্টের কার্যতালিকার ৪৪৮ নাম্বার ক্রমিকে নথিভুক্ত করেন। আগামী ১৬ অক্টোবর রিট পিটিশন শুনানির সম্ভাব্য তারিখ। এই রিট পিটিশনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখতে নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবরে আমি লিখিত আবেদন করেছি।’

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘আগামী ১৬ অক্টোবর একটা শুনানি আছে। ওই তারিখে উচ্চ আদালত কি নির্দেশনা দেন, আমরা সেটা দেখব। তবে আপাতত নির্বাচনী কার্যক্রম চলবে।’

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর