২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ১৬:৩০

সক্ষমতা বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দর

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম:

সক্ষমতা বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দর

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরকে বলা হয়ে থাকে দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। জাতীয় রাজস্বের সিংহভাগ জোগান হয় এ বন্দর থেকেই। এবছর চট্টগ্রাম বন্দর অতিক্রম করতে যাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার ১৩২তম বছর। 

মূলত, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে এ বন্দরের গোড়াপত্তন ঘটে এবং নবম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় নাবিকদের কাছে এটি ‘শেতগাং’ নামে পরিচিতি লাভ করে। ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজরা এ বন্দর ব্যবহার শুরু করে এর নাম দেয় ‘পোর্টে গ্রান্ডে’ (বৃহৎ বন্দর)। ১৮৮৭ সালে ব্রিটিশ সরকার ৫ লাখ টন ল্যান্ডিং ক্যাপাসিটির চট্টগ্রাম বন্দরের কাজ শুরু করে। আজ তা ৫ কোটি টনেরও বেশি হ্যান্ডলিং ক্ষমতাসম্পন্ন বন্দরে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর এশিয়ার ৬৯টি কনভেনশনাল ও সেমি অটোমেটেড বন্দরের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে। ইংরেজরা ১৮৬০ সালে এ বন্দরে দুটি মেকসিফট জেটি তৈরি করে। ১৮৮৭ সালে প্রণয়ন করে ‘চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার অ্যাক্ট’। পরের বছর ২৫ এপ্রিল এ আইনের অধীনে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় এ বন্দরের। ওই দিনটিকে বন্দর দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে কর্তৃপক্ষ। সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার খ্যাত দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবারও উদযাপিত হতে যাচ্ছে বন্দর দিবস।

সমুদ্রপথে দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯২ শতাংশ পণ্য হ্যান্ডলিং করে এ বন্দর। বন্দরের ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি, অর্জন ও সফলতার মধ্যেও সক্ষমতা বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিরন্তর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ। চলতি বছরে দুই দুইবার কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড করেছে এই সমুদ্রবন্দর। বিশ্বের ১০০ সেরা সমুদ্রবন্দর নিয়ে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘লয়েডস লিস্ট’র তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান এখন ৭০ তম।

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বলেন, একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি সংযোজন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি), লালদিয়া টার্মিনাল ও নিউমুরিং ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বে-টার্মিনাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পভুক্ত হয়েছে। বে টার্মিনালের জন্য প্রস্তাবিত ৯০৭ একর জমির মধ্যে মাত্র ৬৮ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন। বাকি ৮৩৯ একর খাস জমি। ২০১৩ সালে ফিজিবিলিটি স্টাডি মধ্য দিয়ে বে-টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হয়। মূল কাজের মধ্যে কনটেইনার ইয়ার্ড ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগে। নির্মাণশেষে বন্দরের ভেতর থেকে ডেলিভারি পয়েন্ট বে টার্মিনাল এলাকায় নিয়ে যাওয়া হবে। তখন বন্দরের কনটেইনার জট, জাহাজ জট, চট্টগ্রাম নগরীর যানজট সমস্যার সহজ সমাধান হবে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর