চট্টগ্রাম ওয়াসা পরিচালনা পর্ষদে একজন প্রকৃত ভোক্তা প্রতিনিধি রাখার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম শাখা।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘ওয়াসা চট্টগ্রাম অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় খাতের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এ পরিচালনা পর্ষদে সিংহভাগই দেশের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। ভোক্তাদের নামেও একজন প্রতিনিধি থাকার কথা। কিন্তু তিনি পর পর দুইবার থাকায় তার মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।’
স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, ‘সরকার ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ প্রণয়ন করেছে। যেখানে ধারা নং ৫ এর ১৬ উপ-ধারায় বলা আছে, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) দেশের সর্বত্র ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আর তারই ধারাহিকতায় ক্যাব সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভোক্তা র্স্বাথ সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণী ও কমিটিগুলিতে প্রতিনিধিত্ব করে আসলেও চট্টগ্রাম ওয়াসায় তা মানা হয়নি। তাই চট্টগ্রাম ওয়সায় ভোক্তাদের সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের দাবি করছি।’
স্মারকলিপিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি সবসময় সদয়। তিনি চট্টগ্রাম ওয়াসার জন্য ইতোমধ্যেই বিপুল বরাদ্দ দিয়েছেন। এই বরাদ্দ নগরবাসীর জন্য আশীর্বাদ হওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতায় জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয়-জাতীয় পত্র পত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিনিদিনই সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। ভোক্তাদের সমস্যা ও ভোগান্তি তুলে ধরার জন্য সরকার ওয়াসা পরিচালনা পর্ষদে ভোক্তা প্রতিনিধি রাখার বিধান রাখলেও ওয়াসা বোর্ড গঠনে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ২০০৯ অনুসরণ করা হয়নি।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন