রোহিঙ্গা প্রবাহের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) অর্থায়নে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার মাসব্যাপী বর্জ্য পরিষ্কার ও পুনরুদ্ধারের নয়টি ওয়ার্ডে প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফ পৌর ভবনের সামনে প্রচারণার উদ্বোধনকালে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় সভাপতিত্বে করেন মেয়র হাজী মোহাম্মদ ইসলাম। ইউএনডিপির কক্সবাজার অফিসের প্রধান ট্রেভর ড্যানিয়েল কার্ক, প্রকল্পের উপদেষ্টা মীর আলী আসগার, প্রকল্প ম্যানেজার মার্তা কুচার্স্কি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মঞ্জরুল হক, পৌর সচিব মুহাম্মদ মুহিউদ্দিন ফয়েজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন-পৌরসভার প্রধান সহকারী মোর্শেদুল ইসলাম।
পৌরসভা সূত্র জানায়, এ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইউএনডিপি দ্বারা চালু করা হয়। টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা : রোহিঙ্গা সংকটে সুইডিশ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সিআইডিএ) দ্বারা এটি সমর্থিত। টেকনাফ পৌরসভায় বিদ্যমান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ৩ বছরের প্রকল্প স্থানীয় বাসিন্দা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকারের মতা বজায় রাখবে। কঠিন বর্জ্যের উৎস বিচ্ছিন্নকরণ, কমিউনিটি ভিত্তিক কমপোস্টিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করবে, কঠিন বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রচেষ্টাকে উন্নত করবে এবং বিদ্যমান বর্জ্য নিষ্পত্তি পদ্ধতি উন্নত করবে। এসব বাস্তবায়ন করতে পৌরসভায় ৫২ জন লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা এ কর্মসূচি চালু ও প্রচারের কাজে নিয়োজিত থাকছেন। সভা শেষে প্রত্যেক পরিচন্নকর্মীদের বিভিন্ন ধরনের সামগ্রিক তুলে দেন ইউএনডিপির কক্সবাজার অফিসের প্রধান এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ডাস্টবিন থেকে বর্জ্য পরিষ্কারের উদ্ধোধন করা হয়।
এসময় মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, টেকনাফকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পরিবেশ রা করা আমাদের দায়িত্ব। এটি কেবল আমাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান এবং বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতি করে না, বরং স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিপদ ঘটায়। ইউএনডিপি পরিষ্কার পরিচন্নতায় জন্য এগিয়ে আসায় পৌরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। ইউএনডিপির কক্সবাজারের প্রধান ট্রেভর ড্যানিয়েল কার্ক বলেন, টেকনাফে সলিড বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন জরুরি প্রয়োজন, জনসংখ্যার চাপ এবং প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য উৎপাদনের কারণে ঠাসা এলাকায়। এই প্রচারণা পরিস্থিতি উন্নত করবে এবং টেকনাফে জনগণের সচেতনতা বাড়িয়ে তুলবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন