চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় গত পাঁচ বছরে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সাধন করে। এর মাধ্যমে চিড়িয়াখানায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বাঘ, জেব্রা, সিংহ, ম্যাকাওসহ নানা প্রজাতির পশ-পাখি যুক্ত এবং অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হয়। করা হয় নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার অবকাঠামোগত উন্নয়ন-সংস্কার, সাধারণ ও অবহেলিত দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাণিবিষয়ক সচেতনতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম, নতুন নতুন প্রাণি সংযোজন, সংরক্ষণ ও পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য এর পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে ‘জনপ্রশাসন পদক’ দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের হাতে এই পদক তুলে দেন। একই সঙ্গে চিড়িয়াখানা পরিচালনায় যুক্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক চার কর্মকর্তা এবং চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটরকেও দলগতভাবে এই পদক দেওয়া হয়।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মমিনুর রশিদ, চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, জেলা প্রশাসনের সাবেক সহকারি কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম এবং চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. শাহাদাত হোসেন শুভ। এই দলের উদ্যোগে চিড়িয়াখানার অবকাঠামোগত সংস্কার, আধুনিক পদ্ধতিতে প্রাণি সংরক্ষণ ও পরিচর্যার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
চিড়িয়াখানা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘২০১৪ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নতুন নতুন পশুপাখি যুক্ত এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে এটি এখন চট্টগ্রামের অন্যতম নান্দনিক ও নয়নাভিরাম বিনোদন কেন্দ্র। এ পদকের মাধ্যমে চিড়িয়াখানায় উন্নয়নের সার্বিক স্বীকৃতি এসেছে।’
চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাব, প্রাণির সংখ্যা কমে যাওয়া এবং জীববৈচিত্রের অপ্রতুলতার কারণে শ্রীহীন হয়ে পড়েছিল চিড়িয়াখানাটি। ২০১৪ সালের পর থেকে এটি সংস্কার, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রাণি সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। চিড়িয়াখানায় নির্মাণ করা হয় ‘বার্ড এভিয়ারি পার্ক’, শিশুদের বিনোদনের জন্য নির্মিত হয় চিলড্রেন জোন, আফ্রিকা থেকে আনা হয় বাঘ ও জেব্রা, রংপুর থেকে আনা হয় সিংহ, যুক্ত হয় ম্যাকাও, রোপন করা হয়েছে নানা ফলজ বৃক্ষ। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় ৬৬ প্রজাতির ৬২০টি প্রাণি আছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার